চুয়েট শিক্ষকদের মধ্য থেকে দ্রুত ভিসি নিয়োগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
দ্রুত উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে দ্রুত ভিসি নিয়োগের পাশাপাশি ভিসি নিয়োগে স্বচ্ছতা ও নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য থেকে ভিসি নিয়োগের দাবি উপস্থাপন করেন তারা।
মানববন্ধনে পুরকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহফুজার রহমান মোহাব্বত দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, চুয়েটে ভিসি পদত্যাগের ১ মাস হতে চলল। আমরা দেখতেছি যে ঢাবি, রাবি, চবি, কুয়েট, সাস্ট সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগ হয়েছে। কিন্তু চুয়েটে এখনো ভিসি নিয়োগ হয় নাই। এ কারণে প্রশাসনিক কাজে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা চাই অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে চুয়েটে ভিসি নিয়োগ করতে হবে। আমরা মনে করি চুয়েটে সৎ, দক্ষ, যোগ্য, ডাইনামিক, ব্যক্তিত্বসম্পন্ন, অরাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দক্ষতা সম্পন্ন শিক্ষক রয়েছেন। ভিসি নিয়োগে তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। চুয়েটকে এগিয়ে নিতে ভিশনারি, স্টুডেন্ট ফ্রেন্ডলি, দুর্নীতিমুক্ত এবং বিশ্ব দরবারে চুয়েটের মান এবং ইন্টারন্যাশনাল কোলাবোরেশন বৃদ্ধি করতে সক্ষম এমন ব্যক্তিকে ভিসি হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে।
পানিসম্পদ কৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের আজকের মানববন্ধনের প্রধান দাবি অতিদ্রুত চুয়েটে একজন সৎ ও যোগ্য স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ প্রদান করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক অনেক কাজ এবং শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি পূরণ সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমাদের সমস্যা সমাধানের জন্য একজন স্থায়ী উপাচার্য অতিদ্রুত নিয়োগ হোক, যিনি কোনো লেজুড়বৃত্তিক রাজনৈতিক মতাদর্শের অনুসারী হবেন না।
আরও পড়ুন: চুয়েট ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্বে সাগরময়-বিজয়
তিনি আরও বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ২১ দফা দাবি প্রদান করা হলেও কার্যত স্থায়ী উপাচার্য ছাড়া দাবি আদায় সম্ভব হচ্ছে না। তাই প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টার নিকট অনুরোধ চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ যেন অতিদ্রুত স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ প্রদান করা হয়। অন্যথায় আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা কঠোর আন্দোলনে যাব।
উপাচার্যের পদ শূন্য হওয়ার এক মাস অতিক্রম হয়ে গেলেও এখনো এই পদে কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ১৪ই আগস্ট শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে উপাচার্যের পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন মোহাম্মদ রফিকুল আলম।