মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ সমাবেশ
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নিরপরাধ শিক্ষার্থীকে মিথ্যা মামলায় আসামি করায় প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে চারটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘গত পরশু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষার্থীকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা মামলার আসামি করে হয়রানি করা হচ্ছে। আমাদের দাবি হচ্ছে অতিসত্বর যেন এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হয় এবং নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের এ মামলা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
তারা আরও বলেন, আমাদের ২৪ এর বিপ্লবের স্পিরিট ছিল যে, যাতে কোন নিরপরাধ ব্যক্তিকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়া না হয়, একইসাথে কোন অপরাধী ব্যক্তিকে যাতে ছাড় দেওয়া না হয়। পূর্বের ফ্যাসিবাদী সরকার ভিন্নমত পোষণ করলেই তাদেরকে হামলা-মামলা দিয়ে দমায় রাখতো। আজকে আপনি কোন একটা ঘটনার প্রেক্ষিতে মামলার করলে, এ মামলায় যারা প্রকৃতপক্ষে অপরাধী, তাদেরকে আপনি আসামি করতে পারেন। কিন্তু ওই মামলায় যারা পূর্বে ছাত্রলীগ করতো বা অন্য কোন কারণে আপনি তাদেরকে আসামি করে দিবেন, এটাও তো কোনোভাবে যৌক্তিক না।
এদিকে দুপুরে নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের উপর থেকে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে সাধারণ শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
উল্লেখ্য, ২২ সেপ্টেম্বর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের হামলার অভিযোগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর পাশাপাশি সাধারণ কিছু শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীরা বলেন, এই মামলায় কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থীকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আসামি করা হয়েছে যারা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিল।
মামলার অভিযোগপত্রে সাক্ষী হিসেবে দুই নম্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক ফয়সাল হোসেনের নাম উল্লেখ করা আছে। কিন্তু নাম সংযুক্তির বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।
ফয়সাল হোসেন বলেন, ‘আমাকে দ্বিতীয় সাক্ষী করে যে মামলা করা হয়েছে, এ সম্পর্কে আমি অবগত নই। তা নিয়ে যা করা প্রয়োজন, আইনি প্রক্রিয়ায় তা আমি করব।’