২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩৮

ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ: কুয়েটের হলগুলোতে আসন বণ্টন হচ্ছে মেধার ভিত্তিতে

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © সংগৃহীত

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ৪টি অনুষদের অধীনে ২০টি বিভাগে প্রায় ৬হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। বিপরীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭টি হলে ২ হাজার ৪০০ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে।

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ওঠে। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে গত ১১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩ তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত আসে। সেই সঙ্গে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততাও নিষিদ্ধ করা হয়।

ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে আসন বণ্টন হচ্ছে মেধার ভিত্তিতে। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করায় শৃঙ্খলা ফিরেছে ক্যাম্পাসে। আর স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ পেয়ে স্বস্তি জানিয়েছেন শিক্ষকরাও।

এদিকে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের পর থেকে হলগুলোতে মেধার ভিত্তিতে আসন বণ্টন হচ্ছে। এতে খুশি শিক্ষার্থীরা। এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘হলে সব ধরনের ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হওয়ার সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই।’

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হওয়ার কারণে এখন সবাই একই ধরনের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। হল বণ্টন থেকে শুরু করে হলের খাওয়া-দাওয়া সবকিছুই ছাত্র এবং শিক্ষকরা নিয়ম মাফিক করতেছেন। ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্তে স্বস্তিতে শিক্ষকরাও। তাঁরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ মিলছে। 

কুয়েট ছাত্র কল্যাণের পরিচালক অধ্যাপক ড. সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘কিছু কিছু ঘটনার জন্য শিক্ষার পরিবেশ বা ছাত্রদের অবস্থা যেটা ছিল সেটা অনেকটা ব্যাহত হয়েছে। 

কুয়েট খানজাহান আলী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘যারা আগে রাজনীতি করতে পারেনি তারা সিট পাইতো না, এরকমই ছিল। এখন আমরা সুন্দরভাবে সিট বণ্টন করতে পারছি। শিক্ষার্থীরাও অনেক খুশি।’