আন্দোলনে যাওয়ায় হামলা হয় ডুয়েট শিক্ষার্থীর বাবার ওপর
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় থাকা ও এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মামুনুর রহমানের বাবার ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। সে সময় ৪০ হাজার টাকা ছিনতাই করার অভিযোগও করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার। গত ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে স্থানীয় বাজার থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে নাটোরের লালপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে লালপুর থানায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে।
ভুক্তভোগীর নাম মো. আব্দুর রশিদ। তিনি একজন কৃষক। অন্যদিকে অভিযুক্তরা হলেন- একই গ্রামের রফিকুল ইসলাম রন্টু, তার ভাতিজা তারিকুল ইসলাম ও আবু তালেব এবং হাবিবুর রহমান নামে এক যুবক। রন্টু পাকশী রেলওয়ে কলেজের শিক্ষক।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, দেড় মাস আগে থেকে সামাজিক বিষয় নিয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে ভুক্তভোগীর বিরোধ হয়। তার জেরে গত ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে আব্দুর রশিদের পথরোধ করে অভিযুক্তরা অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে রন্টুর নেতৃত্বে লোহার হাতুড়ি, লোহার রড, কাঠের বাটাম ও বাঁশের লাঠি দিয়ে প্রচণ্ড মারধর করতে থাকেন তারা।
রডের আঘাতে মুখের ডান পাশে কেটে গিয়ে রক্ত বের হয় আব্দুর রশিদের। এ সময় তাকে গলা চেপে ধরে ও ফাঁস লাগিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন তারা। পরে অভিযুক্তরা ৪০ হাজার টাকা ছিনতাই করেন বলে মামলায় উল্লেখ আছে। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা ছুটে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। আহত আব্দুর রশিদকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল।
এ বিষয়ে মামুনুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আন্দোলনে সক্রিয় থাকায় এবং ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় আগে থেকেই অভিযুক্তরা হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিলেন। ঘটনার দিন আমার বাবা অটোরিকশায় বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় নামিয়ে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক মারধর ও হত্যার চেষ্টা করে। সঙ্গে থাকা ৪০ হাজার টাকাও নিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও সঠিক বিচার চাই।
আরো পড়ুন: বিএনপি ও শিবিরের নেতাকর্মী হত্যা, ১১ বছর পর আসামি হলেন নূর
তিনি আরো বলেন, তারা আমার বাবার ওপর হামলা করেই ক্ষান্ত হয়নি। আমার নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এ মামলা প্রত্যাহারসহ অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। তবে নরানাভাবে চেষ্টা করেও এ বিষয়ে অভিযুক্তদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে মনে করছি। তদন্তকারী একজন কর্মকর্তার মা মারা যাওয়ায় এটি নিয়ে কাজ করতে দেরি হচ্ছে। এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা না গেলেও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।