১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০:৫৯

প্রশংসায় ভাসছেন নোবেল পুরস্কারের প্রার্থী বাছাইয়ে আমন্ত্রণ পাওয়া শাবিপ্রবির নতুন ভিসি

অধ্যাপক ড. এ এম সারওয়ারউদ্দিন চৌধুরী  © ফাইল ছবি

নোবেল পুরস্কারের প্রার্থী বাছাইয়ের আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য নিয়োগ পাওয়া উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সারওয়ারউদ্দিন চৌধুরী। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।

জানা গেছে, ২০১৩ সালে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অফ সায়েন্সের পক্ষ থেকে রসায়নের জন্য নোবেল পুরস্কারের প্রার্থী বাছাইয়ের আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন অধ্যাপক ড. এ এম সারওয়ারউদ্দিন চৌধুরী। তবে তিনি সেই আমন্ত্রণ সাড়া দিয়ে প্রার্থী বাছাইয়ে গিয়েছিলেন কি না সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এদিকে অধ্যাপক ড. এ এম সারওয়ারউদ্দিন চৌধুরীর নোবেল পুরস্কারের প্রার্থী বাছাইয়ের আমন্ত্রণ পাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর থেকে ফেসবুকে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। ফেসবুকের একাধিক গ্রুপে ড. এ এম সারওয়ারউদ্দিন চৌধুরীকে পোস্ট করছেন অনেকে।

‘পাবলিকিয়ান’ নামক একটি গ্রুপে পোস্ট করে বলা হয়েছে, ‘শাবিপ্রবি’র নতুন ভিসির সিভি ৬৫ পৃষ্ঠার! তিনি ২০১৩ সালে নোবেল কমিটি কর্তৃপক্ষের শর্টলিস্টেড এবং হার্ভার্ডের ভিজিটিং প্রফেসর। তাঁর সমৃদ্ধ গবেষণা ব্যাকগ্রাউন্ডে ১৯৯ টি পাবলিকেশন, ৪টা বই, এবং সাইটেশন আছে ২০৮২টি।’

জানা যায়, অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন বিভাগ থেকে ১৯৮৮ সালে বিএসসি (সম্মান) ও ১৯৯০ সালে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি জাপানের হোক্কাইডো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। 

একইসঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি বর্তমানে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় ‘‘পলিমার কম্পোজিটস ইউজিং অ্যানিম্যাল ফাইবারস’’ শীর্ষক একটি  প্রকল্প কাজ করছেন বলে জানা যায়। অন্যদিকে জার্মানের জর্জ-অগাস্ট-ইউনিভার্সিটির ফুল টাইম গবেষক হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে শাবিপ্রবির এ নতুন উপাচার্যের।

৬৫ পেইজের জীবনবৃত্তান্ত সম্পন্ন এই উপাচার্যের ১৭০ টি পাবলিকেশন, ৪ টি বই ও ২০৮২ টি সাইটেশন রয়েছে। তিনি কমনওয়েলথ স্কলারশিপ সহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মান, জাপান ও ডেনমার্কে বিভিন্ন এ্যাওয়ার্ড ও স্কলারশিপ পেয়েছেন। 

২০০৩ সালে কমনওয়েলথ ফেলোশিপ, ২০০৪ সালে জার্মান অ্যাকাডেমিক এক্সচেঞ্জ ফেলোশিপ, ২০০৫ সালে  স্কুল অব এনভায়রনমেন্টাল আর্থ সাইন্স ফেলোশিপ, ২০১০ সালে জন আলেকজান্ডার ভন হাম্বোল্ট ফেলোশিপ সহ বেশ কয়েকটি অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন।