০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮:২০

৬৯ দিন পর ক্লাসে ফিরছে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)  © ফাইল ছবি

বিভিন্ন আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দুই মাসেরও বেশি সময় বন্ধ ছিল নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)। ৬৯ দিন পর আগামী ৮ সেপ্টেম্বর একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর তারিখ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় নতুন প্রশাসন। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) তামজিদ হোসাইন এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  

রেজিস্ট্রার দফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম ( ক্লাস এবং পরীক্ষা) আগামী ৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে। উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহ খুলে দেওয়া হয়েছে। আবাসিক শিক্ষার্থীদের যত দ্রুত সম্ভব হলে ওঠার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এর আগে গত ২৬ জুন থেকে সার্বজনীন পেনশন ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবিতে শিক্ষকরা আন্দোলন শুরু করে এবং ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেন। পাশাপাশি আল্টিমেটাম দিয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করলে স্থবির হয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিকসহ সকল কার্যক্রম। পরবর্তীতে একই মাসে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে তা রূপ নেয় সরকার পতনের আন্দোলনে যা ৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থায়ী হয় এবং ৭ আগস্ট থেকে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ এবং রেজিস্ট্রার এর পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা এবং শাট ডাউন ঘোষণা করে। এরপর ১৯ আগস্টের দিকে শুরু হয় বন্যার ভয়াবহতা। এসব ঘটনার ফলে ২ মাস একাডেমিক কার্যক্রম থেকে দূরে ছিল শিক্ষার্থীরা। 

জানা যায়, একাডেমিক কার্যক্রম চালু করার সিদ্ধান্তে আজ সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানও ইন্সটিটিউটের পরিচালকদের সাথে বৈঠক করেন নতুন প্রশাসনিক ও আর্থিক প্রধান অধ্যাপক ড.শফিকুল ইসলাম। প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপি চলা এ মিটিংয়ে একাডেমিক কার্যক্রম চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক প্রধান অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম  বলেন, আজকের মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে নোবিপ্রবিতে ক্লাস শুরু হবে। পরীক্ষার বিষয়ে স্ব স্ব ডিপার্টমেন্ট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন। আর কোনো শিক্ষার্থীর ডিফেন্স বা ভাইভা দিতে না পারার জন্য যদি তার রেজাল্ট আটকে থাকে, সার্টিফিকেট আটকে থাকে, চাকরি পাচ্ছেনা বা জরুরি কোনো  প্রয়োজন হয়। তাহলে এ সপ্তাহেই তারা সংশ্লিষ্ট  বিভাগের সাথে কথা বলে ডিফেন্স-ভাইভা দিতে পারবেন।