নোবিপ্রবিতে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ, প্রক্টরসহ ৯ জনের পদত্যাগ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আলটিমেটামের নির্ধারিত ৪৮ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় রিজেন্ট বোর্ডের একটি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া একই বৈঠকে আগামীকাল বরিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে দেওয়া, সোমবার থেকে অনলাইনে ক্লাস শুরু এবং ২৫ আগস্ট থেকে সশরীর ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী পদত্যাগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের—প্রক্টর, পাঁচটি আবাসিক হলের প্রভোস্টসহ নয়জন। গতকাল তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার বরাবর তাঁদের পদত্যাগপত্র জমা দেন। জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার মো. জসীম উদ্দিন পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে বিষয়টি উপাচার্যকে অবহিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখে নতুন শিক্ষাক্রমের বৈশ্বিক গুণ-মান অর্জন
পদত্যাগ করা কর্মকর্তারা হলেন—প্রক্টর অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক বিপ্লব মল্লিক, ভাষা শহীদ আবদুস সালাম হলের প্রভোস্ট কাউসার হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক উকিল হলের প্রভোস্ট রুহুল আমিন, হজরত বিবি খাদিজা হলের প্রভোস্ট মো. রফিকুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অবন্তী বড়ুয়া, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট মুহাম্মদ মহিনুজ্জামান, আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ফিরোজ আহমেদ ও অতিরিক্ত পরিচালক মোহাইমেনুল ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয় রিজেন্ট বোর্ডের একজন সদস্য জানান, রিজেন্ট বোর্ডের এক জরুরি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ছাত্র ও শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গত বুধবার উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, প্রক্টরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা কর্মকর্তা এবং প্রভোস্টদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ দাবি করে বিবৃতি দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।