০২ আগস্ট ২০২৪, ১৫:৫২

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাশে শাবিপ্রবির মুষ্টিমেয় শিক্ষক

  © টিডিসি ফটো

দেশব্যাপী ছাত্র হত্যা, নিপীড়ন ও হয়রানির প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে সংহতি ও শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) মুষ্টিমেয় শিক্ষক। 

দুর্দিনে শিক্ষার্থীদের পাশে অবস্থান নেওয়া সকল শিক্ষকদের প্রশংসা করে শিক্ষার্থীরা বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ  শতাধিক শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও আমাদের দুর্দিনে মুষ্টিমেয় যে-সকল পিতৃতুল্য শিক্ষক পাশে থেকে সহায়তা করে যাচ্ছেন আমরা তাদের অবদান ভুলতে পারবো না। 

জানা গেছে, চলমান এই আন্দোলনে সন্ত্রাসীদের হামলা, পুলিশি অভিযানে গ্রেফতার হওয়া শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করতেও কিছু শিক্ষকদের অবদান লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের প্রশংসাও কুড়াচ্ছেন তারা। যৌক্তিক কোটা আন্দোলনে সমর্থন ও হত্যার নিন্দা জানিয়ে গত ১৯ জুলাই কালো ব্যাজ ধারণ, ৩১ জুলাই ও ১ আগস্ট  মৌন মিছিল ও শিক্ষক সমাবেশও করেছেন তারা।

অবস্থান কর্মসূচি ও শিক্ষক সমাবেশে  উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক  অধ্যাপক ড. মো: রেজাউল করিম ও অধ্যাপক ড. মো: আবুল হাসনাত, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: নজরুল ইসলাম, সমাজকর্ম বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক  মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ও অধ্যাপক ড. মো. ইসমাঈল হোসেন, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব মোহাম্মদ রাজিক মিয়াসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ। 

উপস্থিত শিক্ষকবৃন্দ সারাদেশে ছাত্র-জনতার উপর গণহত্যা, গণপ্রেপ্তার, হামলা, মামলা, গুম এবং খুনের বিচার বিভাগীয় নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়ে নিহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে চলমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানান শাবিপ্রবি শিক্ষকবৃন্দ। এসময় তারা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সকল হত্যাকাণ্ড ও নির্মমতার তদন্ত ও বিচারের দাবিও জানান ।

তাছাড়াও কোটা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা ৩ শিক্ষার্থীকে পুলিশ গভীর রাতে আটক করে নিয়ে গেলে তাদেরকে থানা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন গণিত বিভাগের অধ্যাপক আশরাফ উদ্দিন, অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, খাদ্য প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক মোজাম্মেল হক, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শাহ আতিকুল হক ও পরিসংখ্যান বিভাগের খালিদুর রহমান।

শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা বলেন, যে-সকল শিক্ষকরা আমাদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে আমাদের সাহস যুগিয়েছে, বিপদে আমাদের সাহায্য এগিয়ে এসেছে আজীবন আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবো।