১৬ জুলাই ২০২৪, ১২:০৫

যবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের ক্লাসে বয়কটের ঘোষণা

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

কোটা সংস্কারপন্থী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ভিন্ন ধরনের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। কোটা সংস্কার আন্দোলনে যুক্ত শিক্ষার্থীদের কেউ মারধর করলে তাকে বিভাগীয় কার্যক্রম ও শ্রেণি কার্যক্রম থেকে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বয়কটের ঘোষণা দিয়েছেন। 

সোমবার (১৫ জুলাই) ও মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব ঘোষণা দিচ্ছেন যবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগভিত্তিক গ্রুপগুলোতে এ ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আরিফুল হাসান ইমন তার নিজের প্রোফাইলে লিখেছেন, ‘যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক এবং ১১তম, ১২তম, ১৩তম, ১৪তম ব্যাচের কোনো শিক্ষার্থী যদি আজকে বা আগামীতে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী তথা আমাদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনরত ভাই বোনদের ওপর আগ্রাসন/আক্রমণের সাথে সম্পৃক্ত থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তাকে আমরা সামগ্রিকভাবে বর্জন করব সকল ব্যাচ থেকে।সিদ্ধান্তে, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১২তম ব্যাচ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।’

আরো পড়ুন: কৃষি গুচ্ছের ৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত ভর্তি পরীক্ষা কবে, যা জানা যাচ্ছে

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আবিদুর রহমান শাওন তার নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেছেন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৯ম, ১০ম, ১১তম, ১২তম ব্যাচের কোনো শিক্ষার্থী যদি আজকে বা আগামীতে সাধারণ ছাত্রছাত্রী তথা আমাদের ভাই বোনদের ওপর আক্রমণের সাথে সম্পৃক্ত থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তাকে আমরা আমাদের ব্যাচ থেকে বর্জন করব এবং আমাদের সাথে কোন প্রকার ক্লাস বা কোনধরণের পরীক্ষায় সে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তাকে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ৯ম ব্যাচ  হতে সামগ্রিক ভাবে বর্জন করা হবে। সিদ্ধান্তে- ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং(ইইই) বিভাগ-৯ম ব্যাচ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)।

এছাড়াও একই ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের সঙ্গে ক্লাস-পরীক্ষাসহ কোনও একাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে চান না বলে জানিয়েছেন।