প্রধান ফটক অবরোধ করে অবস্থান শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কার এবং মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মত মিছিল বের করে প্রধান ফটকে অবস্থান করে অবরোধ করে রাখে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলই ) দুপুর ১২টায় গোল চত্বরে নিজেদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। এরপর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিছিল বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেইট অবরোধ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন যতক্ষণ পর্যন্ত দাবী আদায় না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন সংগ্রাম চলবে।
সংবিধানের মূল কথা, সুযোগের সমতা। বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই, মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, কোটা প্রথা মানে না ইত্যাদি স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে উঠে কোটা বিরোধী আন্দোলনে অবস্থানরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা নিজেদের প্রস্তাবিত ৪ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবি সমূহ হলো- ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকুরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে, পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকুরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য যৌক্তিক মাত্রায় কোটা রাখতে হবে, সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে, দূর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আজাদ শিকদার বলেন, আপনারা সকলেই অবগত আছেন, ২০১৮ সালে সারা দেশের শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে অন্যায্য ও অযৌক্তিক ৫৬% কোটার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। গণআন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ৪ঠা অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সরকারি চাকরি (নবম-ত্রয়োদশ গ্রেড) থেকে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের ঘোষণা দিয়ে পরিপত্র জারি করে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় গত ৫ই জুন মহামান্য হাইকোর্ট সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহাল করতে রায় দিয়েছে এবং ২০১৮ সালে জারিকৃত সরকারের পরিপত্রকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। আজকে আপিল বিভাগ রায় স্থগিত করেছে। আমরা মনে করি, হাইকোর্টের রায়ে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি।
আরও পড়ুন: কোটাবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল চবি ক্যাম্পাস
আমরা শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা কোটা বিরোধী আন্দোলনের সাথে একাত্মতা পোষণ করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা করছি যতক্ষণ না ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল থাকছে এবং কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হয়।