শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী মারধরের ঘটনায় ২ জন গ্রেফতার
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পূর্ব বিরোধের জেরে দুইজন শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। এই ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সিলেটের জালালাবাদ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শারফিন মিয়া।
তিনি বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ৩০ জুন ক্যাম্পাসের নিকটস্থ নয়াবাজার এলাকায় শাবিপ্রবির দুইজন শিক্ষার্থীকে স্থানীয় কয়েকজন মিলে অতর্কিত হামলা করে ফলে তৈমুর সালেহীন তাউস ও সাদমান শাহরিয়ার মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্তত হয়। এ ঘটনায় আহত সাদমান শাহরিয়ার বাদী হয়ে মেহেদী হাসান রাফিকে (১৯) প্রধান আসামি করে সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১৫ জন রয়েছেন বলে জানা যায়।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে মামলার ৩নং আসামি সাইফ ও ৭নং আসামি রায়হান আহমদকে গ্রেফতার করে তাদেরকে আদালতে পাঠায়েছি। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুতই বাকি আসামিদের গ্রেফতার করতে পারবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আহত শিক্ষার্থীদের সার্বিক অবস্থা এখন মোটামুটি ভালো। হামলাকারী ২ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে এবং বাকিদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে আশাকরি শীঘ্রই তাদেরকে ধরে আইনের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ মে আনুমানিক রাত দেড়টার দিকে মামলার প্রধান আসামি মেহেদী হাসান রাফি (১৯) নামের এক যুবক দ্রুত বেগে গাড়ি চালিয়ে ঠিলারগাঁও থেকে নয়বাজার যাচ্ছিলেন এসময় হলের দুই রাস্তার মাঝখানে এক শিক্ষার্থীর গায়ে আঘাত লাগলে রাফির সঙ্গে হাতাহাতি ও গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও বঙ্গবন্ধু হল প্রভোস্ট বডির সদস্যদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়া হয়।
এরপর ৩০ জুন সন্ধ্যার দিকে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী সাদমান শাহরিয়ার ও তাইমুর সালেহীন তাউস নয়াবাজার এলাকায় গেলে রাফির নেতৃত্বে স্থানীয় কয়েকজন লোক মিলে পাথর ও ধারালো ক্ষুর দিয়ে তাদের উপর হামলা করে। এতে তারা দুজনেই আহত হয়। পরে তাদেরকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।