জানুয়ারিতে সমাবর্তন দিতে শাবিপ্রবিতে বিশেষ সেমিস্টার পদ্ধতি চালু
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) স্নাতক পর্যায়ে ৩০ (ত্রিশ) ক্রেডিট পর্যন্ত অসম্পূর্ণ শিক্ষার্থীদের কোর্স শেষ করার জন্য ‘বিশেষ সেমিস্টার’ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ডিগ্রি অর্জন করার সুযোগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭৬তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ‘বিশেষ সেমিস্টার’ পরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদেরকে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
আগামীকাল বুধবারের (৩ জুলাই) মধ্যে পরীক্ষার ক্রেডিট ফি তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক প্রতি ক্রেডিট ৩ হাজার টাকা হারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোনালী ব্যাংকে এসটিডি-৬ হিসাবে জমা দিতে হবে। পরে ব্যাংক রশিদসহ কোর্স রেজিস্ট্রেশন ফরম (হার্ড কপি) স্ব স্ব বিভাগের মাধ্যমে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরে প্রেরণ করতে হবে বলে জানানো হয়েছে ।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর মো. মুজিবুর রহমানের সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলাহয়, স্নাতক পর্যায়ে যে সব শিক্ষার্থী ৩০ ক্রেডিট পর্যন্ত অসমাপ্ত কোর্স রয়েছে, তারা সর্বোচ্চ দু’টি বিশেষ সেমিস্টারের মধ্যে উক্ত ক্রেডিট সম্পন্ন করে ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবে। চলমান সেমিস্টারে যে সব অসমাপ্ত কোর্স পর্যাপ্ত রয়েছে, বিশেষ সেমিস্টারের সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীরা সে সব কোর্সের ক্লাস এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট বিভাগ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
প্রতি সেমিস্টারে ভর্তি ফি ১০ হাজার টাকা এবং তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক প্রতি ক্রেডিট ৩ হাজার টাকা হারে ক্রেডিট ফি প্রদান করতে হবে। চলমান সেমিস্টারের কোর্স ব্যতিত অন্য কোনো কোর্স পরীক্ষার্থীদের প্রদান করা হলে ‘বিশেষ সেমিস্টার পরীক্ষা কমিটি’ কর্তৃক প্রশ্নকর্তা, পরীক্ষক, নন-মেজর কোর্সের জন্য মডারেটর, টেবুলেটর, স্কুটিনাইজার প্রভৃতি সুপারিশ করবে এবং বিদ্যমান বিধিমোতাবেক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তা অনুমোদিত হবে।
ব্যবহারিক কোর্সের পরীক্ষা প্রচলিত নিয়মানুয়ায়ী গ্রহন করা হবে। ‘বিশেষ সেমিস্টার পরীক্ষা কমিটি’ ও পরীক্ষা কার্যক্রম গত বছরের ১৬ মার্চ অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের ১৭১তম সভার সিদ্ধান্ত নম্বর ১৭১.২৩ এর ১ ও ৩ অনুযায়ী হবে। বিশেষ সেমিস্টার পরীক্ষার ফলাফল সর্বশেষ তাত্ত্বিক পরীক্ষার পরবর্তী এক মাসের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে।
উল্লেখ্য যে, উপরোক্ত সব সিদ্ধান্ত অন্য কোনো নিয়মিত সেমিস্টারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না এবং ভবিষ্যতে কোনো সেমিস্টারের ক্ষেত্রে উদাহরণ হিসাবে দেখানো যাবে না মর্মে কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা রয়েছে বলে জানা যায়।
আরো পড়ুন: একক ভর্তি পরীক্ষা: কম্পিউটারের পরিবর্তে খাতায় মূল্যায়ন, বাধ্যতামূলক হচ্ছে বাংলা-ইংরেজি
‘বিশেষ সেমিস্টার’ পদ্ধতি সমাবর্তন উপলক্ষে কি না জানতে চাইলে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কবির হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, এর আগেও আমরা শিক্ষার্থীদেরকে স্পেশাল সেমিস্টার সুযোগ দিয়েছিলাম, যাতে তারা অসম্পূর্ণ কোর্সগুলো সম্পন্ন করে দ্রুত বের হয়ে যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, জানুয়ারিতে যদি সমাবর্তন হয়, তাহলে এর আগে শিক্ষার্থীরা কোর্সগুলো সম্পন্ন করে নিতে পারলে অনেক ভালো। তাহলে তারা সময়মতো ডিগ্রি পেয়ে যাবে।
এর আগে গত ৪ জুন বিশ্বিবদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ সমাবর্তন সম্ভাব্য আগামী বছরের জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য আমরা মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে সময় চেয়েছি, আশা করছি তা আমরা পাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যেসব শিক্ষার্থী এখনো কোর্স সম্পন্ন করে সার্টিফিকেট নিতে পারেনি, তাদের জন্য আবার স্পেশাল সেমিস্টার চালু করা হবে। এর আগেও তাদেরকে আমরা কোর্স সম্পন্ন করার সুযোগ করে দিয়েছিলাম। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা সুন্দরভাবে ডিগ্রি নিয়ে তাদের কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করুক।’