শাবিপ্রবির দুই শিক্ষার্থীর উপর স্থানীয়দের হামলা, হাসপাতালে ভর্তি
পূর্ববিরোধের জেরে স্থানীয়দের হামলার শিকার হয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার (৩০ জুন) সন্ধ্যা ছয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন বঙ্গবন্ধুর হলের পাশে নয়াবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী।
আহতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের তৃতীয় বষের শিক্ষার্থী তৈমুর সালেহীন তাউস ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের একই বর্ষের শিক্ষার্থী সাদমান শাহরিয়ার।
এর আগে, গত ২৩ মে মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরাণ হলের পাশের সড়কে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন টিলারগাও থেকে জয় বাংলা চত্বর হয়ে রাফি (২৩) নামে এক যুবক দ্রুতগতিতে প্রাইভেটকার চালিয়ে বাসার দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রাইভেটকারের ধাক্কা লাগে। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে চালককে মারধর ও তার গাড়ি ভাঙচুর করেন।
ওই ঘটনার পর আজ রবিবার নয়াবাজার এলাকায় খেতে যান তৈমুর সালেহীন তাউস ও সাদমান শাহরিয়ার। তাদের অভিযোগ, ওই ঘটনার জের ধরে রাফির নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জনের একটি দল এ হামলা চালিয়েছে। হামলায় তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে। এতে তারা গুরুতর আহত হন। আহত দুই শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তারা কেউই রাফির গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িত ছিলেন না।
জানতে চাইলে তৈমুর সালেহীন তাউস বলেন, আজ পরীক্ষা শেষ করে সহপাঠী সাদমানসহ নাস্তা করার জন্য নয়াবাজার এলাকায় গিয়েছিলাম। হঠাৎ রাফির নেতৃত্বে শিবলু, রোহানসহ ৩০-৩৫ জন এসে আমাদের উপর ধারালো চাকু দিয়ে অতর্কিত হামলা করে। এতে আমার ও আমার বন্ধুর হাতে-পিঠে কেটে যায়। আমরা দুজনে মাথায় মারাত্মক আঘাত পেয়েছি। হয়তো ওইদিনের ঘটনার ফলে রাফি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের উপর ক্ষুব্ধ। এ কারণে তারা আমাদের উপর এ আক্রমন চালিয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী মুঠোফোনে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমি ঘটনাটি শোনা মাত্রই পুলিশসহ ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করেছি। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, পূর্বের একটি ঘটনা জের ধরে তারা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় দুজন শিক্ষার্থীর উপর ধারালো ছুরি দিয়া হামলা করেছে।
আহত শিক্ষার্থীদের পরিচয় উল্লেখ করে প্রক্টর বলেন, তারা দুজনে বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। আহত দুই শিক্ষার্থীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করতেছে, তদন্ত শেষে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনাস্থলে অবস্থানকারী জালালাবাদ থানার উপ-পরিদর্শক শারফিন মিয়া বলেন, হামলাকারীদের শনাক্ত করতে ইতোমধ্যে আমরা কয়েকটি টিম কাজ শুরু করেছি। কয়েকজনকে শনাক্ত করতে পেরেছি। আশাকরি খুব শিগগিরই অপরাধীদের ধরে আইনের আওতায় আনা হবে। মামলার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি এখনো তদন্ত করছি, মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।