১৩ জুন ২০২৪, ১৮:২৩

বিভিন্ন মেয়াদে বশেমুরবিপ্রবির ৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

বশেমুরবিপ্রবি  © ফাইল ছবি

বিভিন্ন মেয়াদে ৪ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও ১ শিক্ষার্থীকে জরিমানা এবং ১ শিক্ষার্থীর সার্টিফিকেট ২বছর স্থগিত করেছে করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) প্রশাসন। ১২ ও ১৩ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত আলাদাভাবে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কার ও জরিমানা করার বিষয়টি জানানো হয়।

জানা গেছে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, প্রক্টরকে অশ্রাব্য ভাষায় গালি, ইট দিয়ে জুনিয়রকে গুরুতর আঘাত ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্যের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার ও জরিমানা করা হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ডের ১০ জুন অনুষ্ঠিত আলোচ্যসূচি ১, ২ ও ৪  অনুযায়ী যথাক্রমে জুনিয়রকে ইট দিয়ে আঘাতের ঘটনায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ মোল্লাকে ৪ সেমিস্টার বহিষ্কার ও অতিরিক্ত বিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

বশেমুরবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটি ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রুম বিষয়ক দ্বন্দ্বে বশেমুরবিপ্রবি প্রক্টর ড. মোঃ কামরুজ্জামানকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজের কারণে ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদুর রহমান (মুগ্ধ) কে ২ সেমিস্টার বহিষ্কার ও দুই হাজার টাকা জরিমানা, সহ-সভাপতি ও আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জাকারিয়া মিয়াকে ১ সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার ও ২ হাজার টাকা জরিমানা, সহকারী বিতর্ক ও কর্মশালা বিষয়ক সম্পাদক ও আইন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. ইমন হোসেনকে ১০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। 

এছাড়াও সাবেক সভাপতি ও আইন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ইজাজুর রহমানকে দুই বছরের জন্য সার্টিফিকেট স্থগিত ও কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত ক্ষমা চাওয়াসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। একই সাথে এই ঘটনায় শাস্তি প্রাপ্ত প্রথম তিন জনকে ক্ষমা চেয়ে মূচলেকা প্রদান করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। 

অন্য বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইসলামের মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কটুক্তির ঘটনায় বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী উৎসব কুমার গাইনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ বিষয়ে গত ১০ জুন ২০১৪ শৃঙ্খলা বোর্ড সভার ২ নম্বর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।