দ্বিতীয় দিনের অবস্থান কর্মসূচি চুয়েট কর্মচারী সমিতির
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) ‘আপগ্রেডেশন ও সিনিয়র স্কেল সংক্রান্ত বিধান ২০২২’ সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে কর্মচারী সমিতি। সোমবার (৩ জুন) উপাচার্য ভবনের সামনে অর্ধদিবস অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। সকাল থেকে শুরু হয়ে দুপুর পর্যন্ত চলে এই কর্মসূচি।
অবস্থান কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কর্মচারীবৃন্দ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে। কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখে চুয়েট কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ-সভাপতি, সহ-সভাপতি, যুগ্ম-সম্পাদকসহ আরো অনেকে। অবস্থান কর্মসূচিতে সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন কর্মচারী সমিতির উপদেষ্টা মো. আব্দুল আল হান্নান।
কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ২০২২ সালে সকল বিশ্ববিদ্যালয় হতে বিভিন্ন নীতিমালা গ্রহণ করে কর্মচারীবান্ধব একটি নীতিমালা প্রদান করে চুয়েট প্রশাসন। ২০২৩ সালে সিন্ডিকেট কমিটির দুইজন সদস্য এই নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করার আবেদন করে। যার ফলে কর্মচারীদের উচ্চতর স্কেল প্রদান ও আপগ্রেডেশন এর নীতি বাধার সম্মুখীন হয়।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য মহোদয়কে বিতর্কিত করার লক্ষ্যেই কতিপয় ডিনরা (সিন্ডিকেট কমিটির সদস্য) এই নীতিমালা পুনর্বিবেচনার জন্য প্রেরণ করে। আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচি আমাদের অধিকারকে সমুন্নত রাখার জন্য করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের জন্য ২০২২ সালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নীতিমালা প্রণয়ন করে। তবে বর্তমানে এই নীতিমালা পুনর্বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।