২৯ মে ২০২৪, ২১:৪৪

৪ দফা দাবিতে যবিপ্রবি কর্মচারীদের দুই দিনের কর্মবিরতি, উপাচার্যের আশ্বাস

৪ দফা দাবিতে যবিপ্রবি কর্মচারীদের দুই দিনের কর্মবিরতি, উপাচার্যের আশ্বাস  © টিডিসি ফটো

আপগ্রেডেশন নীতিমালা বাস্তবায়ন, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ব্যক্তিগত নথিতে সংরক্ষণের ক্ষেত্রে শর্তমুক্তকরণ ও চাকরির পাশাপাশি লেখাপড়ার সুযোগ প্রদান সহ চার দফা দাবিতে ২য় দিনের মতো কর্ম বিরতি কর্মসূচি পালন করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) কর্মচারীরা।

মঙ্গলবার ও বুধবার (২৮ ও ২৯ মে) সকাল নয়টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে কর্মচারী সমিতি এ কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করে। 

যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন দাবি মানার আশ্বাস দিলেও দ্রুত সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন চান কর্মচারীরা।

পূর্বঘোষিত দুই দিনের কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবারের পর বুধবারও সকাল ৯টা থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করে কর্মচারীরা। কর্মসূচির একপর্যায়ে উপাচার্যের ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল কর্মচারীদের সাথে আলোচনা করেন। তবে চূড়ান্ত সমাধানে না আসায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কর্মচারী সমিতি।

যবিপ্রবি কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. শওকত ইসলাম সবুজ বলেন, আমাদের দাবিগুলো নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে কর্মচারী সমিতির আলোচনা চলছে। আলোচনায় দাবি মেনে না নিলে আন্দোলন যেভাবে চলছে,সেভাবেই চলবে। এছাড়া আগামী শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতি কার্যনির্বাহী পরিষদের মিটিং রয়েছে, সেখান থেকে সকলের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে কঠোর আন্দোলনের দিকে ধাবিত হবো আমরা।

প্রথম দুই দফা কর্মচারীদের আপগ্রেডেশন নীতিমালা প্রদান ও শর্তমুক্ত রেয়াত প্রদানের বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, কর্মচারীদের জন্য ইউজিসির সমন্বিত নীতিমালা প্রায় প্রস্তুত, যে কারণে আপগ্রেডেশনের নীতিমালার জন্য ইউজিসির কোন সদস্য না পেয়ে তাদের দাবি অনুযায়ী কর্মচারী সমিতির সভাপতি সহ একজন রিজেন্ট বোর্ড সদস্যকে রেখে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি আগামী ৩০ জুনের মধ্যে মধ্যে রিপোর্ট জমা দিবেন। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী রিজেন্ট বোর্ড নীতিমালা প্রণয়ন করবে। রেয়াতের বিষয়ে তাদের কোন চাওয়া থাকলে সেটা নীতিমালায় চলে আসবে।

৩য় দফা শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ব্যক্তিগত নথিতে সংরক্ষণের ক্ষেত্রে শর্তমুক্তকরণ এবং চাকরির পাশাপাশি লেখাপড়ার সুযোগ শর্তবিহীন প্রশাসনিক অনুমতি প্রদানের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, যেসব ডিগ্রি চাকরির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এমন ডিগ্রি অর্জনের জন্য যারা আবেদন করেন তাদের ডিগ্রি বিশ্ববিদ্যালয় গ্রহণ করবে না এমন শর্তে অনুমতি দেওয়া হয়। আর চাকরির সাথে সামঞ্জস্যপুর্ণ ডিগ্রির ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্যই শিক্ষার সুযোগ প্রদান করে এবং বিশ্ববিদ্যালয় সেটা গ্রহণ করে। এটা শুধু কর্মচারীদের জন্য না, শিক্ষকদের জন্য ও একই নীতিমালা। বাংলাদেশ সরকারও একই নীতি অনুসরণ করে।

৪র্থ দফা আপগ্রেডেশনের বোর্ডের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, সর্বশেষ আপগ্রেডেশনের বোর্ডটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী আপগ্রেডেশনের শর্তসমূহ পূরণ না করায় স্থগিত করা হয়নি, বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী আপগ্রেডেশনের শর্তসমূহ পূরণ করবে তাদের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে বোর্ড গঠন করা হবে।