যবিপ্রবিতে প্রথমবারের হতে যাচ্ছে বৈশাখী মেলা
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) প্রথমবারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী প্রাণের উৎসব বৈশাখী মেলা ও লোকসংস্কৃতি উৎসব। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের তত্ত্বাবধানে আগামী ২৪ ও ২৫ শে বৈশাখ অর্থাৎ ৭ ও ৮ই মে দুই দিনব্যাপি এই উৎসব উদাযাপিত হবে।
গ্রামীণ সংস্কৃতিকে তুলে ধরার পাশাপাশি লোকসংস্কৃতিকে তুলে ধরার জন্য যাত্রা, লোকসংগীত, লোকনৃত্য, আদিবাসীদের গান, ময়মনসিংহ গীতিকার পালা, গ্রামীণ খেলাধুলা ইত্যাদি সহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উৎসবটি উদযাপিত হতে যাচ্ছে। এছাড়াও উক্ত বৈশাখী মেলা ও লোকসংস্কৃতি উৎসবের অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে উদ্যোক্তা মেলারও আয়োজন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উৎসবের দায়িত্বে থাকা ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. অভিনু কিবরিয়া ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আমরা বৈশাখ মাসেই বৈশাখী মেলা ও লোকসংস্কৃতি উৎসবের আয়োজন করতে চাচ্ছি। এতে ২৫ শে বৈশাখ যেহেতু রবীন্দ্র জয়ন্তী সেহেতু আমরা ২৪ এবং ২৫ বৈশাখ এর আয়োজন করতে চাচ্ছি। এই উৎসবে আমরা চেয়েছি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা উদ্যোক্তা আছে, পড়াশোনার পাশাপাশি যারা বিভিন্ন ব্যবসার সাথে যুক্ত আছে তাদেরকে নিয়ে আমরা এই বৈশাখী মেলাটা করতে চেয়েছি।
এছাড়া আমাদের গ্রামীণ সংস্কৃতিকে তুলে ধরার পাশাপাশি লোকসংস্কৃতি কে তুলে ধরার জন্য গ্রামীণ খেলাধুলা আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করবো। যার মধ্যে থাকবে লাঠিখেলা, যাত্রা, বিভিন্ন এলাকার গান, ময়মনসিংহ গীতিকার পালা এছাড়া আদিবাসীদের বিভিন্ন গান। এখন পর্যন্ত আমাদের ২৫-৩০ টা স্টলের আয়োজন করার কথা হয়েছে। কিছুদিন যাবত তীব্র তাপদাহের কারণে আমাদের অনুষ্ঠানটি একটু পিছিয়ে নেয়া হয়েছে। আমাদের আনুষঙ্গিক প্রস্তুতি গ্রহণ শেষ। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্লাব সংগঠনগুলো এই অনুষ্ঠান আয়োজনে অনেক সহায়তা করছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের শুরু হয়েছিল পুরান ঢাকার মুসলিম মাহিফরাস সম্প্রদায়ের হাতে। গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে বাংলাদেশের প্রতি বছর ১৪ই এপ্রিল এই উৎসব পালিত হয়।