মাভাবিপ্রবিতে বক্তব্য রাখেন ভারতের অধ্যাপক ড. এ. এম. দেশমুখ

মাভাবিপ্রবিতে বক্তব্য রাখেন ভারতের অধ্যাপক ড. এ. এম. দেশমুখ
মাভাবিপ্রবিতে বক্তব্য রাখেন ভারতের অধ্যাপক ড. এ. এম. দেশমুখ  © সংগৃহীত

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) “ফুড মাইক্রোবায়োলজি” বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে দশটায় মাভাবিপ্রবির ফুড টেকনোলজি এন্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্স (এফটিএনএস) বিভাগের উদ্যোগে উক্ত বিভাগের সেমিনার রুমে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে এফটিএনএস বিভাগের প্রভাষক মো: রাকিবুল হাসানের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য পেশ করেন ভারতের মাইক্রোবায়োলজি সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ. এম. দেশমুখ।

প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. এ. এম. দেশমুখ তার আলোচনায় বর্তমান বিশ্বে খাদ্য ও খাদ্য প্রযুক্তির গুরুত্ব এবং এর সাথে ওতপ্রোতভাবে ভাবে জড়িত অন্যান্য বিষয়সমূহ যেমন ফুড মাইক্রোবায়োলজি, ফুড বায়োটেকনোলজি, ফুড সেফটি এন্ড ফুড পলিসির সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন।

তিনি বলেন, ফুড টেকনোলজি এন্ড নিউট্রিশনাল সায়েন্স পৃথিবীব্যাপী এমন একটি বিষয় যার গুরুত্বের কোন সীমা নেই। তিন বেলা আমরা কিছু করি আর না করি আমাদের ক্ষুধা পায় আর সাথে সাথে আমরা খাবার খুঁজতে ছুটে পড়ি। জীবন ধারণের জন্য সেই আদিকাল থেকে সেই একই ধারা অব্যাহত রয়েছে। বেঁচে থাকার জন্য খাদ্যের কোন বিকল্প নেই। তাই বর্তমানে এই উন্নত বিশ্বে পড়াশোনা, চাকরি কিংবা গবেষণার জন্য পৃথিবী জুড়ে উক্ত বিষয়টির কোন জুড়ি নেই।
বর্তমান বিশ্বে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, সকলের জন্য খাদ্য নিশ্চায়ন (নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি) এবং উৎপাদিত খাদ্য সঠিক ভাবে সংরক্ষণের জন্য সৎ এবং দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন।

এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুটি চ্যালেঞ্জ হলো ক্ষুধা এবং পুষ্টিহীনতা নির্মূল করা। এ দুটি নির্মূলের লক্ষ্যে ফুড টেকনোলজি, ফুড মাইক্রোবায়োলজি, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োটেকনোলজি, ফুড পলিসি এন্ড কন্ট্রোল ইত্যাদি বিষয়কে কাজে লাগিয়ে কীভাবে ব্যাপক ফসল উৎপাদন, উৎপাদন ব্যয় হ্রাস, নিরাপদ ভাবে খাদ্য সংরক্ষণ এবং পুষ্টিমান বৃদ্ধি করা যায় সে লক্ষ্যে তিনি আলোচনা করেন।

খাদ্য জালে কারসিনোজেনিক পদার্থের প্রবেশ, তা থেকে সৃষ্ট ক্যান্সার, খাদ্য সংরক্ষণে এন্টিবায়োটিকের ব্যাপক ব্যবহার, শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক রেমিটেন্স এবং এর জন্য সৃষ্ট স্বাস্থ্য ঝুঁকিগুলো তুলে ধরেন। আগামী প্রজন্মকে এন্টিবায়োটিকের মরণ থাবা থেকে দূরে না রাখতে পারলে অদূর ভবিষ্যতে বিশ্ব এক নজিরবিহীন মৃত্যু মিছিলের সাক্ষী হতে যাচ্ছে।’

বক্তব্য শেষে তিনি সেমিনারে উপস্থিত শিক্ষক শিক্ষার্থীদের খাদ্য উৎপাদন এবং এর সংরক্ষণ বিষয়ে আধুনিক কলাকুশলী বিষয়ে ধারণা এবং উৎসাহ প্রদান করেন।  

অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত ছিলেন এফটিএনএস বিভাগের অধ্যাপক ড. লুৎফুননেছা বারি, অধ্যাপক ড. মো. আজিজুল হক, অধ্যাপক ড. রোকেয়া বেগম, অধ্যাপক ড. মো. আবু জুবাইরসহ বিভাগের অন্যান্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

 

সর্বশেষ সংবাদ