চুয়েটের দুই ছাত্রকে চাপা দেওয়া বাসটির ফিটনেস ছিল না
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই ছাত্রকে চাপা দেওয়া শাহ আমানত বাসের ফিটনেস ছিল না। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেই এ বাসের ফিটনেসের মেয়াদ শেষ হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম বিআরটিএর সহকারী পরিচালক রায়হানা আক্তার উর্থি।
এসময় তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে এ বাসের ফিটনেসের মেয়াদ শেষ হয়েছে।
এর আগে সোমবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরেহী চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরেক শিক্ষার্থী। চট্টগ্রাম–কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের সৈয়দা সেলিমা কাদের চৌধুরী কলেজ গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন— চুয়েট শিক্ষার্থী শান্ত সাহা ও তৌফিক হোসেন। শান্ত সাহা পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের (২০ তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী। তিনি নরসিংদী সদরের কাজল সাহার ছেলে।
অন্যদিকে তৌফিক হোসেন একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (২১ তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী। তিনি নোয়াখালী সুধারামের নিউ কলেজ রোড এলাকার মোহাম্মদ দেলোয়ারের ছেলে।
গুরুতর আহত পুরকৌশল বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র (২১ তম ব্যাচ) জাকারিয়া হিমু চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মোটরসাইকেলে ৩ শিক্ষার্থী ছিলেন। দুর্ঘটনার পরপরই জাকারিয়া হিমু একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে তিনি একাই চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল এভার কেয়ারে চলে যান। তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন আছেন। জাকারিয়া হিমুর বাড়ি বরিশাল সদর উপজেলায়। তাঁকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩ লাখ টাকা দেওয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান।