০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১১

ডুয়েল মাস্টার্স প্রোগ্রাম শুরু করছে বুয়েট ও ইউনিভার্সিটি অফ লিমেরিক

বুয়েট ও ইউনিভার্সিটি অফ লিমেরিকের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান  © সংগৃহীত

আয়ারল্যান্ডের  ইউনিভার্সিটি অফ লিমেরিক (ইউএল) এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বুয়েট) ডুয়েল মাস্টার্স প্রোগ্রাম শুরু করার জন্য যৌথ স্মারক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ইউনিভার্সিটি অফ লিমেরিকের গ্লোবাল অ্যান্ড কমিউনিটি এনগেজমেন্ট বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক নাইজেল হীলি এবং বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার সম্প্রতি লিমেরিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এ চুক্তি স্বাক্ষর করেন। 

বুয়েটের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু স্নাতক ১৯৯৮ সাল থেকে লিমেরিক বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের উচ্চতর অধ্যয়ন এবং প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে। বুয়েট ২০১৭ সাল থেকে ইউরোপীয় কমিশনের ইরাসমাস+ প্রোগ্রামের অর্থায়নে International Credit Mobility Program -এ ইউএল’র একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। দুটি প্রতিষ্ঠান ২০১৯ সালে এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।

ডুয়েল মাস্টার্স প্রোগ্রাম’র চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অধ্যাপক হীলি বলেন, ‘এই চুক্তি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় দুটির  মধ্যে সম্পর্ককে সুদৃঢ় করবে। এটি বুয়েট তথা বাংলাদেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের লিমেরিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডভান্স মাস্টার্স প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে লিমেরিকের মত একটি শহর, যেখানে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বহুজাতিক কোম্পানীগুলো অবস্থিত, সেখানে প্রবেশের দ্বার উমুক্ত করবে।’

ফাইবার-অপটিক কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রখ্যাত বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মজুমদার বলেন, ‘বুয়েট প্রতি বছর বাংলাদেশের সর্বোচ্চ মেধাবীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে তাদের শিক্ষার্থী হিসেবে গ্রহণ করে। এ সব প্রতিভাবান শিক্ষার্থীদের বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য উচ্চ শিক্ষার আনুষ্ঠানিক মাধ্যম প্রয়োজন। যাতে তারা স্নাতকোত্তর অধ্যয়নের জন্য ভর্তি প্রক্রিয়ার অনিশ্চয়তা দূর করে অবিলম্বে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে প্রস্তুত হয়।’

তিনি আরো বলেন, লিমেরিক ইউনিভার্সিটির যে বিশ্বমানের শিক্ষাব্যবস্থা এবং আয়ারল্যান্ডজুড়ে যে বহুজাতিক কোম্পানীর ইন্ডস্ট্রিয়াল নেটওয়ার্ক রয়েছে, তা আমাদের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে এবং বিশ্বমানের গবেষণায় অংশ নিতে সাহায্য করবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের পরবর্তী শিল্প বিপ্লবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে।’ 

আরো পড়ুন: ১৩ দিনের ছুটিতে বুয়েটে

বাংলাদেশ এবং আয়ারল্যান্ড উভয়েই গত দুই দশকে ইতিবাচক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়ন অর্জন করেছে। আয়ারল্যান্ড প্রজাতন্ত্রের এন্টারপ্রাইজ, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান বিষয়কমন্ত্রী সাইমন কভেনি, টিডির এ বছর সেন্ট প্যাট্রিকস ডে তে বাংলাদেশ সফরের পর এ দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে।

অধ্যাপক হীলি বলেন, ‘আমি ইউএল এবং বুয়েটের মধ্যে এই ইউনিভার্সিটি টু ইউনিভার্সিটি অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠায় আনন্দিত। এটি সময়োপযোগী, উভয় পক্ষের জন্য উপকারী এবং উভয় সরকারের প্রচেষ্টার সঙ্গে সমন্বয়মূলক। আমি আত্মবিশ্বাসী যে চুক্তিটি আগামী দিনগুলোতে  ইউএল এবং বুয়েটের মাঝে আরো নতুন যৌথ প্রোগ্রামের সূচনা করবে, যা এই ঐতিহাসিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করে তুলবে।’