তৃতীয় দিনের মতো ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন বুয়েট শিক্ষার্থীদের
ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি পুরোপুরি বন্ধসহ ৬ দফা দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালন করছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১ এপ্রিল) সরেজমিনে বুয়েট ক্যাম্পাসে দেখা যায়—পুরো ক্যাম্পাস ফাঁকা নেই শিক্ষার্থীদের আনাগোনা। দুই-এক জন শিক্ষার্থীকে দেখা গেলেও তারা ব্যক্তিগত কাজে এসেছেন বলে জানান। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস খোলা রেখে দাপ্তরিক কাজসমূহ যথারীতি চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নিরাপত্তা প্রহরী বলেন, সকাল থেকে ক্লাসে কোনো শিক্ষার্থী আসে নাই। ক্যাম্পাস একেবারেই ফাঁকা। গত তিন দিন ধরে এই অবস্থা বলেও জানান তিনি।
এর আগে, গত বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। তারা বলছেন, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার পরও বুধবার মধ্যরাতে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালায়।
এ ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়ে গতকাল বিকেলে শিক্ষার্থীরা ৬ দফা দাবি বুয়েট প্রশাসনকে লিখিত আকারে জানান। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বুধবার মধ্যরাতের পর ক্যাম্পাসে “বহিরাগতদের” প্রবেশ ও রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক হলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ইমতিয়াজ হোসেন।
ইমতিয়াজকে বুয়েট থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার, হলের সিট বাতিলসহ তার সহযোগীদেরও বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারেরও দাবি শিক্ষার্থীদের।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেন ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে দিচ্ছে তার ব্যাখ্যাও চেয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের (ডিএসডব্লিউ) পদত্যাগ দাবি করেছেন তারা। এসব দাবি আদায়ে শনি ও রবিবারের (৩০ ও ৩১ মার্চ) পরীক্ষাসহ সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।