ছাত্র রাজনীতি নিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নিয়ে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। বুয়েট শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ রাখার দাবিতে কয়েকদিন থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে কর্মসূচি করছেন। এদিকে, ক্যাম্পাসটিতে ফের ছাত্র রাজনীতি চালুর দাবিতে এবার পাল্ট কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
গত বুধবার রাত ২টার দিকে নেতাকর্মীসহ বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। শিক্ষার্থীরা সংগঠনটির এমন পদক্ষেপকে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ বুয়েটে ফের রাজনীতি শুরুর তৎপরতা বলে উল্লেখ করেছেন। এরপর থেকে শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন শুরু করেন।
গভীর রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বুয়েটে প্রবেশ নিয়ে ক্যাম্পাসটিতে নতুন করে আলোচনায় আসে ছাত্র রাজনীতির ইস্যুটি। ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ শীর্ষ নেতাদের প্রবেশ ও জনসমাগমের সমালোচনা করেছেন বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার। তিনি বলেছেন, গভীর রাতে কেউ (ক্যাম্পাসে) ঢুকলে এটা অবশ্যই অনিয়মতান্ত্রিক।
ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ বুয়েটে ফের রাজনীতি শুরুর তৎপরতায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠেন শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রবেশ ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগে শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিন সকাল ৭টায় তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। বিক্ষোভ চলে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, শনিবার তারা সাড়ে ৫ ঘণ্টা বিক্ষোভ করলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছ থেকে দাবির বিষয়ে ইতিবাচক কোনো সাড়া পাননি। আন্দোলনরত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ায় আজ কর্মসূচি শেষ করা হয়েছে। তারা রবিবার একইভাবে টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জন করে সকাল ৭টা থেকে বুয়েটের শহীদ মিনারে অবস্থান নেবেন।
এদিকে, বুয়েটে ফের ছাত্র রাজনীতি চালুর দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক আখ্যা দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পাসে আবার ছাত্র রাজনীতি ফেরাতে আগামীকাল রবিবার (৩১ মার্চ) সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতিবাদ সমাবেশ করবে ছাত্রলীগ।
সংগঠনটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মৌলবাদী গোষ্ঠীর কালোছায়া মুক্ত করে বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে এবং বুয়েট কর্তৃক গৃহীত অসাংবিধানিক, মৌলিক অধিকার পরিপন্থী, শিক্ষাবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। একইসঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে ইমতিয়াজ রাব্বির বিরুদ্ধে বুয়েট প্রশাসনের নেওয়া পদক্ষেপেরও তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে।