মাভাবিপ্রবির হলের সহকারী রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন
মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) নবনির্মিত শেখ রাসেল হলের সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে ৪ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে ১৪ কর্ম দিবসের মধ্যে সুপারিশসহ রিপোর্ট জমার দেওয়ার নির্দেশনা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কর্তৃপক্ষের আদেশক্রমে জানাচ্ছি যে, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের 'শেখ রাসেল হল' এর সহকারী রেজিস্ট্রার জনাব মোহাম্মদ শহিদুল ইসলামের অফিসে অনুপস্থিতি, দাপ্তরিক কাজে অবহেলা ও হল প্রশাসনের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ সংক্রান্ত বিষয়ে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো।
৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটিতে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ খাদেমুল ইসলামকে আহ্বায়ক, এফটিএনএস বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আজিজুল হক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মোহা. তৌহিদুল ইসলামকে সদস্য এবং রেজিস্ট্রার অফিসের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (সাধারণ শাখা) মোহাম্মদ আব্দুল মোতালেবকে সচিব করা হয়।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ খাদেমুল ইসলাম বলেন, ‘রোববার চিঠি হাতে পেয়েছি। আমি অসুস্থ থাকাসহ অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ের জন্য ৬, ৭ ও ১০ তারিখ ছুটিতে ছিলাম এবং ৮ ও ৯ তারিখ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিল। তাই এই বিষয়ে তেমন অগ্রগতি হয়নি।’ সময় স্বল্পতা এবং অসুস্থতার কারণে উপাচার্যের কাছে আবেদন জমা দিয়ে সময় বাড়িয়ে নিবেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমাকে ফাঁসানোর জন্য একটা প্রসেস। আমি প্রতিদিন অফিসে যায়, আমাকে ফাঁসানোর জন্য এটা প্রশাসনিক কর্মকর্তা রবি আর প্রভোস্ট মিলে এই কাজ করেছে। কারণ হচ্ছে প্রভোস্টের কাছে অ্যাটেনডেন্স সিট থাকে, আমার কাছে দেয় না।
তিনি আরও বলেন, নিয়ম হলো অফিসের অ্যাটেনডেন্স শিট আমার কাছে থাকবে। সেখানে আমরা সাইন করবো। তিনি চাইলে ৯টা বা সাড়ে ৯টার দিকে তা নিতে পারেন। কিন্তু সেটি তার রুমে থাকে। আমি ৯টায় গেলে তার রুম থেকে ১২ টায় শিট আনতে হয়। আবার অনেক সময় আমি ৯টায় গেলেও সাড়ে ১০টা, ১১টা বা ১২টা এমন টাইম দিয়ে অ্যাটেনডেন্স শিট আমার কাছে পাঠায়। ১৫ই আগস্ট তার সাথে কথাকাটাকাটি হয়। তাই এই বিষয়টি তিনি অন্যভাবে নিয়ে গেছে।
তবে তাকে ফাঁসাতে হলটির প্রশাসনিক কর্মকর্তা রবি ও প্রভোস্ট কাজ করেছে এমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন রবিউল ইসলাম রবি। তিনি বলেন, আমি কাজে বিশ্বাসী, আমি কাজ করতে এসেছি এবং দায়িত্ব পালন করতে এসেছি। এখন কেউ যদি আমার বিরুদ্ধে এমন কথা বলে এটা তার ব্যক্তিগত মতামত। ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে সে এই বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মন্তব্য করতে পারে।
এ বিষয়ে শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী জানান, ‘এই বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সত্য মিথ্যা তারাই এটি প্রমাণ করবে।’