১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৪২

নোবিপ্রবিতে সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে ছাত্রলীগের হামলার শিকার সাংবাদিক

অভিযুক্ত রকি  © টিডিসি ফটো

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের খাবারে ভর্তুকি প্রদান, নিরাপদ পরিবহণ ব্যবস্থা, ক্লাসরুম সংকট নিরসনসহ মোট ১১দফা আন্দোলনে সংবাদ সংগ্রহের সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ কর্মীর হামলার শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাংবাদিক। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে এ ঘটনা ঘটে। 

ভুক্তভোগী সাংবাদিকের নাম মিরাজ মাহমুদ। তিনি একটি স্থানীয় পত্রিকায় কাজ করেন। এছাড়া তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের (১৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী। 

জানা যায়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চলাকালে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গেলে শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা সাংবাদিক মিরাজের উপর চরাও হন। পরবর্তীতে আড়ালে ডেকে নিয়ে তার মুঠোফোনে তোলা ছবি ও ভিডিও ডিলিট করার চেষ্টা করেন। পাশাপাশি তাকে প্রহার করতে থাকেন। 

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র অনুযায়ী, হামলার নেতৃত্ব দেওয়া হাবীবুর রহমান রকি ইংরেজি বিভাগ ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হল ছাত্রলীগের শীর্ষ পদপ্রত্যাশী। 

ভুক্তভোগী সাংবাদিক মিরাজ মাহমুদ বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের ভিডিও সংবাদ সংগ্রহ করছিলাম। আন্দোলন তখন প্রায় শেষের দিকে। আন্দোলনের মধ্যে প্রশাসনিক ভবনের গেইটে তখন অনেকের মধ্যে হাতাহাতি ও বিশৃঙ্খলা  হচ্ছিল।  সেই মুহূর্তে আমি ভিডিও ধারণ করছিলাম। হঠাৎ করে পেছন থেকে একজন আমাকে ডেকে নিয়ে যায় এবং গোলচত্বরে বাসের আড়ালে নিয়ে গিয়ে আমার মাথায় এবং শরীরে জোড়ে থাপ্পড় এবং কিল-ঘুষি দিয়ে আমাকে ভিডিও ডিলিট করার জন্য চাপ দিতে থাকে। আমি তাকে সাংবাদিক পরিচয়ও দিয়েছি। তারপরেও সে আমাকে বিরামহীন মারধর করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঘটনাস্থলে এসেই বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ১নং সহ-সভাপতি মাকসুদুল কাদের সোহান। তবে এসময় সাংবাদিকের গায়ে হাত তোলার বিষয়টি অস্বীকার করেন ছাত্রলীগ কর্মী রকি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান রকির সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। 

সাংবাদিকের গায়ে হাত তোলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেন, সাংবাদিকদের গায়ে হাত তোলা কখনোই কাম্য নয়। এমন কোনো অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।