বুয়েট-কুয়েট-রুয়েট থাকলেও চুয়েট নেই আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেটে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) চলছে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া আয়োজনে দেশের ২৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অংশ নিচ্ছে। তবে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) প্রতিযোগিতায় নেই।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। একই ধরনের প্রতিষ্ঠান বুয়েট, কুয়েট ও রুয়েট প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে। তবে চুয়েট কেন যায়নি, সে প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের। অর্থনৈতিক সংকট, অংশগ্রহণের অনাগ্রহ নাকি অন্য কোনও কারণ আছে, সে প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
চুয়েটের উপ-প্রধান শারীরিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জসীম উদ্দীন বলেন, এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য প্রয়োজন পূর্ব প্রস্তুতি এবং প্রশিক্ষণ, যা বর্তমানে চুয়েটে নেই। আর প্রতিযোগিতায় ডিউস বলে (ক্রিকেট বল) খেলা হবে। কিন্তু চুয়েটে টেপ-টেনিস বলে খেলা হয়।
তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে এবার প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব হয়নি। আগামী বছর থেকে অংশগ্রহণ করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
চুয়েট স্পোর্টস ক্লাবের সভাপতি আবিদুর রহমান বলেন, আমরা এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের উদ্যোগ নিলেও প্রস্তুতি ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবে অংশগ্রহণ করতে পারিনি। এমন প্রতিযোগিতার তথ্য সর্বপ্রথম ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের কাছে আসে। তাদের কাছ থেকে এ ধরনের তথ্যপ্রাপ্তিতে বিলম্ব হলে প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি নেওয়া কঠিন হয়ে যায়।
আরো পড়ুন: ক্রমেই অতিথি পাখিশূন্য হচ্ছে ইবির লেক, দেখা মিলবে না কয়েকযুগেও
অন্যদিকে, অন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট ও ফুটবল আয়োজনেও অনাগ্রহ দেখানোর অভিযোগ উঠেছে চুয়েট প্রশাসনের বিরুদ্ধে। শুধু বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা আর আন্তঃহল ভলিবল টুর্নামেন্টনই নিয়মিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জামিউল হাসান জয় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সর্বশেষ ২০১৯ সালে সফল সিএফএল (চুয়েট ফুটবল লীগ) আয়োজিত হয়েছিল। ২০২২ সালে প্রতিযোগিতাটি একবার শুরু হয়েও মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়, যা পরে আর আয়োজন করা হয়নি। আর ‘১৮ ব্যাচ চুয়েটে ৫ বছর শেষ করলেও এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে কোনো ক্রিকেট টুনামেন্ট পায়নি।
খেলাধুলার আয়োজনে ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের অর্থনৈতিক কোনো সমস্যা আছে কিনা জানতে চাইলে পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, খেলাধুলা আয়োজনে আমাদের অর্থনৈতিক দিক থেকে কোনো বাঁধা নেই। শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ব্যস্ত সূচিসহ বিভিন্ন কারণে সময়মতো খেলাগুলোর আয়োজন করতে পারছি না।