২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০:১৯

২০২৩ সালে যাদের হারিয়েছে হাবিপ্রবি

এবছর হাবিপ্রবি হারিয়েছে বেশ কিছু মেধাবী শিক্ষার্থী  © ফাইল ফটো

দরজায় কড়া নাড়ছে নতুন আরেকটি বছর। এরইমধ্যে অনেকে নতুন বছরের পরিকল্পনাও সাজাতে বসে গেছে। আনন্দ-বেদনা, আশা-নিরাশায় ভেলায় চড়ে সবাই ২০২৩ সালকে বিদায় জানাতে যখন প্রস্তুত তখন একটু পেছন ফিরে দেখা যাক ফেলে আসা দিনগুলো।

চলতি বছর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) হারিয়েছে বেশ কিছু মেধাবী শিক্ষার্থীকে; সাথে একজন কর্মচারীকেও। যারা কোনোদিন আর ফিরবেন না। চিরদিনের জন্য পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে। তাদের নিয়েই আজকের এই প্রতিবেদন।

গত ২২ এপ্রিল অসুস্থতা জনিত কারণে ১৯-২০ সেশনের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী রাহিম হোসেন না ফেরার দেশে চলে যান। ফুসফুসে ইনফেকশনের কারণে অপারেশন করা হয়েছিল তাঁর। এতে তিনি কিছুদিন আইসিইউতে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিংসা গ্রহণ করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

৭ জুন ১৪-১৫ ব্যাচের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ফারিজুল ইসলাম সাব ইন্সপেক্টর (এস.আই) এর মাঠ বা শারীরিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে গিয়ে হিটস্ট্রোক করে পরীক্ষা কেন্দ্রের মাঠেই লুটিয়ে পড়েন। এরপর সেখান থেকে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজের আইসিইউতে ভর্তি করানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

গত ২ জুলাই চালকোবরা সাপের কামড়ে মারা যান ২০১৮-১৯ সেশনের  গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী দিলীপ রায়। দিলীপ ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসে। ঈদের দ্বিতীয় দিন রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় সাপ তাকে কামড় দেয়। পরে তাকে প্রাথমিকভাবে এলাকার কবিরাজের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

৯ নভেম্বর গলায় মাফলার পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ২৩ ব্যাচের কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী গৌর চন্দ্র। তার সহপাঠীদের ধারণা মতে, তিনি প্রেমঘটিত বিষয়ে মানসিকভাবে অস্থিরতায় ছিল। সেই থেকে এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে থাকতে পারে।

গত ১৩ নভেম্বর অসুস্থতাজনিত কারণে মারা যান বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের কর্মচারী মো. আব্দুর রশীদ। তিনি একজন কর্তব্যনিষ্ঠ ও দায়িত্বপরায়ণ কর্মচারী ছিলেন।