নৈতিকতা ও সততাই সত্যিকারের স্মার্টনেস: নোবিপ্রবি উপাচার্য
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেছেন, সম্প্রতি সময়ে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ধারণা নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। আমার মতে, নৈতিকতা ও সততাই সত্যিকারের স্মার্টনেস। অর্থাৎ যিনি সততা ও নৈতিকতার মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হবেন, তিনিই সত্যিকারের স্মার্ট নাগরিক হবেন।
আজ বুধবার (৬ ডিসেম্বর ২০২৩) নোবিপ্রবির বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী ইদ্রিস আলী অডিটোরিয়ামে “অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা ও জিআরএস সফটওয়্যার” বিষয়ক দিনব্যাপী সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নোবিপ্রবি উপাচার্য এসব কথা বলেন। নোবিপ্রবি ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি) আয়োজিত এ সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দফতরের ৭০ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।
অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেন, আমাদের আশপাশে ব্যাপক হারে অবকাঠামো উন্নয়ন হচ্ছে, তবে এর সঙ্গে সমান্তরালভাবে মনুষ্যত্বের উন্নয়ন ঘটছে বলে মনে হচ্ছে না। এ বিষয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে।
আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সচিব ড. ফেরদৌস জামান ও নোবিপ্রবি রেজিস্ট্রার জনাব মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। নোবিপ্রবি আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক জনাব মো. মুহাইমিনুল ইসলাম সেলিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে রিসোর্স পার্সন হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশ নেন ইউজিসির উপ-পরিচালক জনাব মৌলি আজাদ।
অনুষ্ঠানের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী বলেন, বিধি, উপ-বিধি, আইন ও কানুন, আমরা রাষ্ট্র ও সমাজে এই ধরনের নানা শব্দ শুনি। সবাই যদি নিজের কর্ম সঠিকভাবে সম্পাদন করে তাহলে এসবের প্রয়োজন পড়ে না। আমরা একে অন্যকে সম্মান করবো, একে অন্যের কাজকে সম্মান করবো।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, অভিযোগ হতে হবে বস্তুনিষ্ঠ ও গঠনমূলক। অনেক সময় কাউকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে নাম ও স্বাক্ষরবিহীন উড়ো চিঠি দেয়ার সংস্কৃতি দেখতে পাই, এটা দুঃখজনক। অভিযোগ নিষ্পত্তি কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে নোবিপ্রবিতে চাকরি বিধি প্রণয়নসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হলো এপিএ বা বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি। বর্তমানে এতে পাঁচটি শাখা রয়েছে যেমন- নৈতিকতা কমিটি, সিটিজেন চার্টার, তথ্য অধিকার, ই-গভর্নেন্স এবং অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা। আজকের সেমিনারটিতে মূলত অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা বিষয়ে আলোকপাত করা হবে। এপিএতে বর্ণিত লক্ষ্যসমূহ অর্জনর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।
নোবিপ্রবি রেজিস্ট্রার জনাব মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, আমাদের যার ওপর যে দায়িত্ব অর্পিত আছে তা যদি সঠিকভাবে পালন করা হয় তাহলে কোন অভিযোগও আসবে না, আর তা নিষ্পত্তিরও প্রয়োজন হবে না। আমি আশা করছি ডিসেম্বর মাস থেকেই আমরা নোবিপ্রবিতে ডি-নথি বাস্তবায়ন শুরু করতে পারবো।