১৮ আগস্ট ২০১৮, ১৫:০৭

প্রথমবারের মতো ‘চা-শ্রমিক কোটায়’ ভর্তির সুযোগ শাবিপ্রবিতে

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)  © ফাইল ফটো

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) প্রথমবারের মত স্নাতক ভর্তিতে ‘চা-শ্রমিক কোটা’ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রতিবছর ৪ জন শিক্ষার্থী এ কোটায় ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে।  

এবার ভর্তি আবেদন শুরু হবে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে চলবে ২৫ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত । ১৩ অক্টোবরে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. শামসুল হক প্রধান জানিয়েছেন, ‘এবারের ভর্তি পরীক্ষায় গতবারের থেকে সর্বমোট ১৪টি আসন বৃদ্ধি করা হয়েছে যার মধ্যে চারটি ‘চা-শ্রমিক কোটায়’, বাকি দশটি ‘বি’ ইউনিটের বিভিন্ন বিভাগে।  এবছর ‘এ’ ইউনিটে ৬১৩টি এবং ‘বি’ ইউনিটে ৯৯০টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, শাবিতে এ বছর কোটায় সর্বমোট ১০০ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি করানো হবে।  এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ২৮ জন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী/ জাতিসত্ত্বা/ হরিজন-দলিত ২৮ জন, প্রতিবন্ধী ১৪ জন, চা-শ্রমিকের সন্তান ৪ জন, বিকেএসপি ৬ জন ও পোষ্য কোটায় ২০ জনকে ভর্তির সুযোগ দেয়া হবে।

সিদ্ধান্ত অনুসারে, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ভর্তি আবেদন আগামী ০২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে।  আগামী ১৩ অক্টোবরে ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে আবেদন প্রক্রিয়া চলবে ২৫ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত ।

বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ‘এ’ ও ‘বি’; অন্যদিকে মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র ‘এ’ ইউনিটে পরীক্ষা দিতে পারবে।  ‘এ’ ইউনিটের আবেদনের জন্য এসএসসি ও এইচএসসি মিলিয়ে ৬.৫ ও ‘বি’ ইউনিটের জন্য ৭ থাকতে হবে।

ড. শামসুল হক প্রধান জানান, অন্যান্য বার টেলিটকের মাধ্যমে ভর্তি আবেদন করা গেলেও এ বছর তা থেকে সরে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ বছর শাবির নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করতে হবে এবং ফি প্রদান করতে হবে বিকাশ বা রকেটের মাধ্যমে।

অন্যদিকে, এসএসসির জিপিএকে ২ দ্বারা ও এইচএসসির জিপিএকে ৪ দ্বারা গুণ করা হবে, যেটা আগে দুইটির জিপিএ মিলিয়ে ৩ দ্বারা গুণ করা হতো। 

শাবিপ্রবিতে এ বছরও দ্বিতীয় বার ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগও থাকছে এবং ভর্তি পরীক্ষা এমসিকিউ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে।