ডি-নথির যুগে প্রবেশ করলো যবিপ্রবি
কাগজবিহীন অফিস প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দাপ্তরিক নথি ব্যবস্থাপনা ও রেকর্ড সংরক্ষণে ডিজিটাল নথির (ডি-নথি) যুগে প্রবেশ করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে আজ সোমবার দুপুরে ডি-নথি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।
ডি-নথির কার্যক্রম নিয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক বলেন, যবিপ্রবিসহ ইতোমধ্যে ইউজিসির নেতৃত্বে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ডি-নথিতে প্রবেশ করেছে। আজ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অফিসিয়ালি প্রবেশ করলো। কিছুক্ষণ আগেই আমি ডি-নথির মাধ্যমে একটি ফাইল প্রেরণ করেছি।
তিনি আরও বলেন, যবিপ্রবি একটি টেকনিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, টেকনিক্যালি আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ পেপারলেস অফিসের মধ্যে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করেছে। পরীক্ষার ফলাফল অনলাইনে প্রকাশ হতে যাচ্ছে। ডি-নথি কার্যকর হলে ফাইল কোথায় আছে, তা সহজেই খুঁজে বের করা যাবে। ফাইল নিয়ে অনিয়ম হবে না। ডি-নথির মাধ্যমে জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা আরও নিশ্চিত হবে।
আরও পড়ুন: ঢাবি-বুয়েটসহ ১০ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের নিয়ে কমিটি, নেতৃত্বে ইউজিসি
এছাড়া ডি-নথি কার্যকর হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সময় ও খরচ কমার পাশাপাশি কাগজেরও সাশ্রয় হবে বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ডাটাবেস তৈরি করা হচ্ছে এবং এ পদ্ধতি অটোমেশন করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের টার্গেট ২০২৫ সালের মধ্যে পূর্ণাঙ্গভাবে ডিজিটালাইজেশন করা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব, সংশ্লিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক ও কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব, মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. মেহেদী হাসান, উপ-রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ এমদাদুল হক, সহকারী রেজিস্ট্রার নিত্যানন্দ পাল, সিনিয়র প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহিম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা রাসেল আহমেদ প্রমুখ।