২০ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:০৬

শাবিপ্রবিতে প্রেনিউর ল্যাবের ২দিন ব্যাপী কর্মশালা 

প্রেনিউর ল্যাবের ২দিন ব্যাপী কর্মশালা  © টিডিসি ফটো

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রেনিউর ল্যাবের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস, অ্যামেরিকান কর্নার সিলেট শাবিপ্রবি ও শাবিপ্রবি প্রেসক্লাবের সহায়তায় কো-ক্রিয়েট-২০৭১ শীর্ষক ২ দিন ব্যাপী নীতি সুপারিশ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। 

গত বৃহস্পতিবার কর্মশালার উদ্বোধন করা হয় এবং শুক্রবার কর্মশালাটি শেষ হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ কবির হোসেন এবং সভাপতিত্ব করেন, প্রেনিউর ল্যাবের হেড অফ অপারেশন্স এম আশরাফুল তানভীর।

সভাপতির বক্তব্যে এম আশরাফুল তানভীর বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের আগামী ৫০ বছরের সম্পর্কের বিকাশ ও উন্নয়নে দেশ দুইটির একে-অপরের থেকে এখনো অনেক কিছু শেখার রয়েছে।

কো-ক্রিয়েট ২০৭১ বুটক্যাম্পটির এক্সপার্ট সেশন, প্যানেল আলোচনা, নীতি সুপারিশ কর্মশালা, সচেতনতার জন্য ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরি, এবং গ্রুপ এক্টিভিটিতে শাবির ১৮০ জন শিক্ষার্থী সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

উক্ত বুটক্যাম্পের প্রথম দিনে আলোচনা করা হয়, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও নীতি সুপারিশ কেন্দ্রিক। তরুণদের নিয়ে গণতান্ত্রিক মুল্যবোধ ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেন সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক প্রণব কান্তি দেব, শাবিপ্রবির অধ্যাপক ড জায়েদা শারমিন এবং অ্যামেরিকান কর্নার সিলেটের পরিচালক মোস্তফা কামাল। এছাড়াও ডিজিটাল যুগে ডিজিটাল কন্টেন্টের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য 'ডিজিটাল কন্টেন্ট ক্রিয়েশন' শীর্ষক সেশন পরিচালনা করেন প্রেনিউর ল্যাবের কন্টেন্ট ক্রিয়েশন এক্সপার্ট নূরুন নকিব অনিম।

দ্বিতীয় দিনে আলোচনা করা হয়, উদ্ভাবন এবং উদ্যোক্তা কেন্দ্রিক। এতে সিলেট উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট স্বর্ণলতা রায় একটি সেশন পরিচালনা করেন। যেখানে তরুণদের উদ্যোক্তা হয়ে উঠার জন্য প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়। শাবিপ্রবির অধ্যাপক ড. মো: মনিরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. নূর উদ্দিন আহমদ এবং প্রেনিউর ল্যাবের সহ-প্রতিষ্ঠাতা রাখশান্দা রুখাম তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তরুণদের নিজেদের উদ্যোগ শুরু করার বিষয়ে দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

আয়োজকরা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুরূপ কর্মসূচি সম্প্রসারিত করার অভিমত প্রকাশ করে বলেন, এসব কর্মশালা ভবিষ্যতের নীতিনির্ধারকদের, বিশেষ করে তরুণদের, বিশেষজ্ঞদের সাথে সংযোগ স্থাপন এবং অর্থপূর্ণ আলোচনায় অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করবে বলে জানান তারা।