পশ্চিমারা ইসরায়েলকে দিয়ে অর্থনীতি ও রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চায়: বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) গত ০৭ই অক্টোবর থেকে চলমান ইসরায়ইল ও ফিলিস্তিনের সংকট নিয়ে মানবতার ডাকে সলিডারিটি এসেম্বলির (সংহতি সমাবেশের) আয়োজন করেছে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ।
রবিবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১.৩০ টায় শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সম্মুখে সংহতি সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে উপস্থিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব বলেন, “আমরা জানি আজ বিশ্ব মানবতা লুণ্ঠিত। ইসরায়েলের জন্য এই মানবতা লুণ্ঠিত হচ্ছে। এতেই বোঝায় যাচ্ছে ইসরায়েলকে নিয়ে একটা বড় সন্ধি হচ্ছে। ইসরায়েলের যে আন্দোলন আমরা প্রথমে ভাবছিলাম এটা খ্রিষ্টান এবং ইহুদী বনাম মুসলিম সমস্যা, কিন্তু এটার গভীরে আরো অনেক কিছু রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “পশ্চিমা বিশ্ব ইসরায়েলের পক্ষে রয়েছে, তার মানে তারা তাদের অর্থনীতিকে বাচিয়ে রাখতে এই যুদ্ধ। তারা এশিয়াতে যুদ্ধ বাধানোর জন্য ইসরায়েলের মাধ্যমে এই কাজগুলো করছে। এই জন্য আমাদের প্রতিবাদ করতেই হবে এটা বোঝানোর জন্য ইসরায়েলের এই যুদ্ধ শুধু ইহুদি ও মুসলমানদের যুদ্ধ নয় এটা একটা অর্থনৈতিক যুদ্ধ। আজ আমরা এখানে দাড়িয়েছি এটা বোঝাতে যে আমরা ফিলিস্তিনের পক্ষেই আছি এবং বলতে চাই মানবতার বিজয় হবেই।”
আরও পড়ুন: প্রতিষ্ঠার এক যুগ পর প্রথম প্রো-ভিসি পেল বশেমুরবিপ্রবি
সংহতি সমাবেশে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাপতি মো. বদরুল ইসলাম বলেন, আমরা ফিলিস্তিনের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকবো। ইসরায়েলিরা গাজায় অবৈধ বসতি নির্মাণ করছে এবং তাদেরকে চলে যাওয়ার ২৪ ঘন্টা আল্টিমেটাম দিয়েছে তা শুধুমাত্রই ফিলিস্তিনিদের নির্মূলের জন্যই, যার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তান সম্পর্কে যে বক্তৃতা দিয়েছেন আমরা তার সাথে সহমত। একই সাথে আমরা ইসরাঈলকে আহ্বান জানাচ্ছি ফিলিস্তিনের সহায়তার জন্য করিডোর সমূহ খুলে দেওয়ার জন্য অন্যথায় যেকোনো মানবিক বিপর্যয়ের দায়ভার তাদের মাথা পেতে নিতে হবে।
এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রেজিষ্ট্রার মো: দলিলুর রহমান, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ আলী খান, মানবিকী অনুষদের ডিন হাবিবুর রহমান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাপতি মো: বদরুল ইসলাম, একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌস, সহকারী অধ্যাপক আরাফাত রহমান, সহকারী অধ্যাপক নুসরাত তায়েফ, প্রভাষক সাইফুল ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।