দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্সের দায়িত্ব বশেমুরবিপ্রবির
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়টির অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের সাবেক পরিচালক ও ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আশিকুজ্জামান ভূঁইয়াকে ইনস্টিটিউট অব কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। অফিস আদেশে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি এর কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনার নিমিত্তে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আশিকুজ্জামান ভূঁইয়াকে ইনস্টিটিউট অব কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের পরিচালক নিযুক্ত করা হয়েছে।
নতুন দায়িত্ব প্রাপ্তির ফলে মো. আশিকুজ্জামান ভূঁইয়া তার বিভাগের দায়িত্বের পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে এ দায়িত্ব পালন করবেন এবং এর জন্য তিনি বিধি অনুযায়ী ভাতাদি প্রাপ্ত হবেন বলেও জানানো হয়েছে ওই অফিস আদেশে।
এর আগে, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে প্রায় ২৮ কোটি টাকা অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছিল শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ধর্ম বিষয়ক অডিট অধিদপ্তর। এমনকি এ বিষয়ে তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনেও (দুদক) অভিযুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জোবেদার ‘ডাক না পাওয়া নিয়োগে’ বেরোবিতে শিক্ষক হলেন ছাত্রলীগ নেতা মনিরুল
অডিট প্রতিবেদনে জানানো হয়েছিল, তিনি বিধিবহির্ভূতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম ক্রয়ের জন্য খুলনা শিপইয়ার্ডকে কার্যাদেশ ও ২৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা অগ্রিম প্রদান করছিলেন। এ ছাড়া তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের নামে অগ্রণী বাংক বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় ১ কোটি ৪৪ লাখ ১৯ হাজার ৪৬ টাকা মূল হিসাব থেকে সরিয়ে নেন।
বিষয়টি নিয়ে তখন বিতর্ক শুরু হলে তিনি ওই টাকা ১৪ নভেম্বর আবার আগের অ্যাকাউন্টে ফেরত দেন। এ অডিট রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে ওইসময়ে মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান ভূঁইয়ার পরিবর্তে নতুন প্রকল্প পরিচালক নিযুক্ত করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবি রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান বলেন, তাকে পরিচালক করা, এটি কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত। দুদকে অভিযুক্ত থাকার বিষয়ে আমি জানি না। দুদকে অভিযুক্ত হলেতো ওনার চাকরিই থাকার কথা না।
আর বশেমুরবিপ্রবির উপাচার্য ড.একিউএম মাহবুব বলেন, আর কোনো যোগ্য সিনিয়র শিক্ষককে না পেয়ে তাকে দায়িত্ব দিয়েছি। এর আগে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আসায় তাকে সরিয়ে দেয়া হয়েছিল। এখন এ পদেও যোগ্য কাউকে পেলে তাকে সরিয়ে দেয়া হবে।