২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২০:৫৪

চবিতে সাংবাদিকের উপর হামলা: শাবি প্রেসক্লাবের নিন্দা

চবিসাস ও শাবি প্রেসক্লাব  © লোগো

দৈনিক প্রথম আলোর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) সদস্য মোশাররফ শাহ এর ওপর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন ‘শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব’।

রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শাবি প্রেসক্লাবের সভাপতি নাজমুল হুদা ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লা আল মাসুদ এক যৌথ বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একই সাথে জড়িতদের স্থায়ী বহিষ্কার ও গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।

বিবৃতিতে শাবি প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চবি উপাচার্যের বক্তব্য নিতে তার কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন মোশাররফ শাহ। এসময় নতুন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সামনে চবি ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের অনুসারী ১৫ থেকে ২০ জন ছাত্রলীগ কর্মী তাঁর উপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। এসময় তারা মোশাররফ শাহকে প্রথমে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। পরে তাকে জেরা করে শহীদ আব্দুর রব হলের গেটে নিয়ে যায়। সেখানে কয়েকজন তাঁর কপালে, মুখে কিলঘুষি দেন ও হাতে আঘাত করেন। এসময় তারা তার মোবাইলফোনও ছিনিয়ে নেয় বলেও আমরা জানতে পারি।

আরও পড়ুন: 'ছাত্রলীগ নিয়ে কেন নিউজ হয়েছে' বলেই চবিতে সাংবাদিককে মারধর

নেতৃবৃন্দ বলেন, মারধরের সময় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ওই সাংবাদিককে পরবর্তীতে ছাত্রলীগ নিয়ে আর কোনও প্রতিবেদন না ছাপানোর হুমকি দেন। তারা বলেন, ‘আর নিউজ করিস, তারপর দেখব তোরে কে বাঁচাতে আসে। ছাত্রলীগকে নিয়ে কোনও নিউজ হবে না।’

যৌথ বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকদের উপর হামলা, মারধর ও হুমকি দেয়া সংবাদপত্রে স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপের শামিল। অতীতে বিভিন্ন সময়েও এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি আমরা লক্ষ্য করেছি। আজকের এ ঘটনা তারই ধারাবাহিকতার অংশ। সাংবাদিকদের উপর হামলা ও হুমকি দেয়ার এ ধরনের ঘটনা মুক্ত সাংবাদিকতার অন্তরায়। মুক্ত সাংবাদিকতা চর্চায় বাধাদানকারী এমন ঘটনায় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেইসাথে সংবাদকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।