২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২১:২২

প্রয়াত শিক্ষার্থীর স্মরণে বৃক্ষরোপণ করলো হাবিপ্রবির মার্কেটিং বিভাগ

প্রয়াত শিক্ষার্থীর স্বরণে বৃক্ষরোপন করছে মার্কেটিং বিভাগ  © টিডিসি ফটো

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) মার্কেটিং বিভাগের প্রয়াত শিক্ষার্থী আ. রাহিমের স্মরণে বৃক্ষরোপণ করেছে মার্কেটিং বিভাগ। বুধবার (২০সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হল থেকে হাবিপ্রবি স্কুল মাঠে পর্যন্ত বৃক্ষরোপণ করে বিভাগটি। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. জামাল উদ্দিন, বিভাগের অধ্যাপক ড. মো শামীম হোসেন, সহকারী অধ্যাপক শেখ মো সহিদ উজ-জামান, প্রভাষক মো. আসাদুজ্জামান বাবু, প্রভাষক কাজী মোহাম্মদ ইউসুফ সহ
আ. রাহিমের বন্ধু ও তার বিভাগের সিনিয়র ও জুনিয়ররা।

মার্কেটিং (২০ ব্যাচের) শিক্ষার্থীরা তার বন্ধুর স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগায়। গাছগুলোর মধ্যে ছিল  জলপাই, পেয়ারা, বহেরা, অর্জুন, নিম, চালতা, কাঠবাদাম, মাধবীলতা, শিউলি, মেহেদী গাছ সহ অন্যান্য গাছ। গাছগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ এলাকা,জিয়া হল থেকে হাবিপ্রবি স্কুল মাঠ,জিয়া হল এবং কিছু ফাঁকা জায়গায় লাগানো হয়।

মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.মোঃ জামাল উদ্দিন বলেন, ‘রাহিম ইদের মতো আনন্দের দিনে আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিল। তার ভালো কাজের জন্য আমাদের মনে এখনো বেঁচে আছে। সে এই বৃক্ষের মতোই সবুজ হয়ে আমাদের মনে যুগ যুগ রবে। তিনি প্রত্যাশা করেন তার ভালো কাজের বিনিময়ে মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে ক্ষমা করে দিয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করবেন।’

মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ শামীম হোসেন বলেন, ‘রাহিম নিঃসন্দেহে একজন ভালো মানুষ ছিল। তার ভালো গুণের জন্যই তার বন্ধুরা তার স্মৃতিতে বৃক্ষরোপণ করছে।এই বৃক্ষরোপণ তার জন্য সাদগায়ে জারিয়া হিসেবে কবুল হোক। তিনি প্রত্যাশা করেন মার্কেটিং বিভাগের কেউ আর এভাবে আমাদের মাঝ থেকে আকস্মিকভাবে মৃত্যুবরণ না করুক।

মার্কেটং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের সহকারী পরিচালক শেখ মো সহিদ উজ-জামান বলেন, ‘মৃত্যু নিশ্চিত কিন্তু সময় অনিশ্চিত! কখন কে কিভাবে মারা যাবে বলা দায়।তেমনি একটি চিরন্তন সত্য ঘটনা আমাদের মার্কেটিং বিভাগের আ. রাহিম ইদের আনন্দের দিনে আমাদের কাঁদিয়ে চলে গেছেন। যা আমাদের অনেক ভাবায়! কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস তো মেনে নিতেই হবে। তার হাসিমাখা মুখ সর্বদা চোখের সামনে ভেসে ওঠে। সে নিঃসন্দেহে একজন ভালো ছাত্র ছিল, ভালো মানুষ ছিল।

উল্লেখ্য রাহিম হোসেন বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২২ এপ্রিল  ইদ-উল-ফিতরের দিন সন্ধ্যায় মৃত্যুবরণ করেন। রাহিমের দাঁতের ব্যাথা থেকে ভাইরাস ফুসফুসে আক্রমণ করে তার অসুস্থতা গুরুতরভাবে বেড়ে তোলে। রহিমের বাড়ি জয়পুরহাট জেলায়।