ধাক্কা লাগায় ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মারামারি, ভাংচুর
শরীরে ধাক্কা লাগা নিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) শাখা ছাত্রলীগের দু'পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হলের কক্ষের কাঁচ ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরাণ হলে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমানের সমর্থক মো. শিপন হাসান ও ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হুদা শুভর মধ্যে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরে ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হুদা শুভ ক্যান্টিন থেকে খাবার নিয়ে বের হয়ে হওয়ার পথে খলিলুর রহমানের সমর্থক মো. শিপন হাসানের গায়ে ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রথমে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তারা হাতাহাতি ও মারামারিতে জড়ায়। খলিলুরের সমর্থক শিপন ক্যান্টিন থেকে বের হয়ে পরবর্তীতে তার গ্রুপের অন্য কর্মীদের নিয়ে নাজমুল হুদার কক্ষের কাঁচ ভাঙচুর করেন বলে জানা গেছে।
এ সময় হলে উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরি হয় এবং উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর হল প্রভোস্ট এবং প্রক্টররা এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
মো. শিপন হাসান বলেন, ক্লাস শেষে হলের ক্যান্টিনে খাবার খেতে যাচ্ছিলাম। ক্যান্টিনের দরজা দিয়ে ঢোকার সময় শুভ ভাইয়ের সঙ্গে আমার ধাক্কা লাগে। তিনি উল্টো দিক দিয়ে বের হচ্ছিলেন। ধাক্কা লাগার পর উনার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উনিই আমাকে প্রথম চড় মারেন। এরপর উনার সঙ্গে আমার হাতাহাতি হয়।
এ বিষয়ে নাজমুল হুদা শুভ বলেন, আমি ক্যান্টিন থেকে খাবার নিয়ে বের হচ্ছিলাম। তখন শিপনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। সে আমাকে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। একটু পরই তার গ্রুপের প্রায় ৩০-৪০ জন ছেলেদেরকে নিয়ে আমার কক্ষে গিয়ে ভাঙচুর চালায়। সেখানে জানালার কাঁচ এবং একটি সাউন্ড বক্স ভেঙে ফেলে।
আরো পড়ুন: নিপীড়ক শিক্ষক জনির অনুগ্রহেই চেয়ারে বসেছেন জাবি উপাচার্য!
তিনি বলেন, ক্যান্টিনের ঝামেলার পর আমার গ্রুপের সমর্থকদের সঙ্গে খলিল ভাইয়ের সমর্থকদের কোন ঝামেলা হয়নি। এরপর প্রভোস্ট ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এসেছিলেন হলে। তারা বিষয়টি মঙ্গলবার আলোচনা করে সমাধান করবেন বলে জানিয়েছেন।
আহত মো. শিপন হাসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। নাজমুল হুদা শুভ শাখা ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করছেন এবং তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী।
ঘটনার বিষয়ে শাহপরাণ হলের প্রভোস্ট (ভারপ্রাপ্ত) কৌশিক সাহা বলেন, ঘটনা শোনার পরই আমরা হলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করেছি। মঙ্গলবার জরুরি মিটিং ডেকেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।
সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আমরা ঘটনার পরপরই সেখানে যাই। আমরা আমাদের উপস্থিতিতে দু’পক্ষকেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে এসেছি। এখন পরিবেশ শান্ত রয়েছে। হল কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।