প্রকৌশলে পড়েও ঢাবিসহ ৭২ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়াদের প্রকৌশলীর স্বীকৃতি নেই

শিক্ষার্থী
শিক্ষার্থী   © ফাইল ফটো

ছোটবেলা থেকেই প্রকৌশলী (ইঞ্জিনিয়ার) হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন সাকিব। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফলাফলের পর ভর্তি হয়েছিলেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে (সিএসই)। বেশ ভালো ফলাফল নিয়ে স্নাতকও সম্পন্ন করেছেন। তবে প্রকৌশল নিয়ে পড়ালেখা করলেও স্নাতক শেষে নামের আগে ‘প্রকৌশলী’ লেখার অনুমতি নেই সাকিবের।

শুধু সাকিবই নন, দেশের ৭২টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই প্রকৌশল অনুষদভুক্ত বিভিন্ন বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করলেও নামের আগে ‘প্রকৌশলী’ লিখতে পারেন না। এদের মধ্যে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ২১টি আর বেসরকারি বিশ্ববদ্যিালয় ৫০টি। তাছাড়া রয়েছে একটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ও।

প্রকৌশল বিষয়ে পড়েও প্রকৌশলী হিসেবে স্বীকৃতি না পাওয়ার মূল কারণ দেশে প্রকৌশলীদের একমাত্র পেশাজীবী সংগঠন ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (ইআইবি)’ এর সদস্যপদ না থাকা। ইআইবি এর অঙ্গ সংগঠন বোর্ড অব এক্রিডিটেশন ফর ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনিক্যাল এডুকেশন (বিএইটিই) থেকে এক্রিডিটেশন পাওয়া প্রোগ্রামের শিক্ষার্থীরা স্নাতক শেষে ইআইবি এর সদস্যপদ পেয়ে থাকে। যারা ইআইবি এর সদস্য শুধুমাত্র তারাই নামের আগে ‘প্রকৌশলী’ ব্যবহার করতে পারে। আন্তর্জাতিক মানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিটি ‘প্রকৌশলী’ প্রোগ্রামের জন্য বিএইটিইর নূন্যতম কিছু শর্ত নির্ধারিত রয়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠান এক্রিডিটেশেনর জন্য আবেদন করলে এসব শর্ত পূরণ সাপেক্ষে আইইবি তাদের এক্রিডিটেশন দিয়ে থাকে।

যেসব প্রতিষ্ঠানের বিএইটিই'র এক্রিডিটেশন থাকে তারা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উচ্চশিক্ষা এবং চাকরির ক্ষেত্রে বেশকিছু সুবিধা পেয়ে থাকেন। এছাড়া আগামী বছর থেকে বিএইটিই ওয়াশিংটনভিত্তিক ইঞ্জিনিয়ারদের আন্তর্জাতিক মানসম্মত একটি অর্গানাইজেশনের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে বিএইটিই’র এক্রিডিটেশন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর গ্র্যাজুয়েটরা সরাসরি আমেরিকায় বিভিন্ন চাকরির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

বর্তমানে দেশে ১০৩টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স পড়ানো হলেও বিএইটিই এর এক্রিডিটেশন প্রাপ্ত মোট ৩১টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের গ্র‍্যাজুয়েট হওয়ার পর আইনগতভাবে নামের সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ার যুক্ত করতে পারবে। এরমধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ১০টি, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ২০টি এবং আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় ১টি।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ইআইবির স্থায়ী সদস্য হচ্ছে- বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এবং ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট)। এছাড়া বিএইটিই থেকে এক্রিডিটেশন রয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের।

বিএইটিইর এক্রিডিটেশনপ্রাপ্ত বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হল, অ্যামেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, আহসানুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, ব্রাক ইউনিভার্সিটি, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, গ্রীণ ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চিটাগং, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার এন্ড টেকনোলজি, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটি, সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ এবং ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি।

এক্রিডিটেশন না থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবি এক্রিডিটেশন পেতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের নিবিড় পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে যেতে হয় এবং পর্যাপ্ত শিক্ষক, ল্যাবসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হয়। একারণে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় এক্রিডিটেশনের জন্য আবেদনই করে না।

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থী সালমান রহমান বলেন, বশেমুরবিপ্রবির সিএসই বিভাগ সম্প্রতি এক্রিডিটেশন গ্রহণের বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে৷ তবে আমি মনে করি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যই এক্রিডিটেশন জরুরি। কারণ নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগেরই ল্যাব নেই, প্রয়োজনীয় শিক্ষক নেই। এমনকি পুরানো অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েও দেখা যায় ল্যাব থাকলেও ল্যাব সরঞ্জাম নষ্ট। আর এসবের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তাই এক্রিডিটেশন নেয়া না নেয়ার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর ছেড়ে না দিয়ে ইউজিসি যদি বিএইটিই এর সাথে আলোচনার মাধ্যমে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এক্রিডিটেশন বাধ্যতামূলক করত তবে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার মান নিশ্চিত হত এবং আমরা লাভবান হতাম।

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, আমরা কম্পিউটার সায়েন্স এবং টেলিকমিউনিকেশন এর প্রয়োজনীয় সকল কোর্স পড়ে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছি। কিন্তু অন্য কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটরা এসব কোর্স পড়েই নামের সঙ্গে প্রকৌশলী ব্যবহার করতে পারে। অথচ আমরা একই কোর্স সম্পন্ন করে ডিগ্রী করা সত্ত্বেও প্রকৌশলী ব্যবহার করতে পারছি না, এটি আমাদের ডিগ্রীকে পরোক্ষভাবে হেয় প্রতিপন্ন করছে বলে আমি মনে করি। এছাড়া আমরা সহ সারাদেশের যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গুণগত মান বজায় রেখে কম্পিউটার সায়েন্স এবং বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয় পড়েও প্রকৌশলী ব্যবহার করতে তারা চরমভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের বিভাগ এই বিষয়ে উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন রিপোর্ট পাঠিয়েছে সংশ্লিষ্টদের। আইইবিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে আমাদের বিভাগ পরিদর্শন করে যাচাই বাছাই করে গিয়েছে। এতো কোয়ালিটি মেন্টেইন করে পাঠদান করানোর পাশাপাশি আমাদের বিভাগ আন্তরিক চেষ্টা করেও শিক্ষার্থীদের এই সুবিধা টা এনে দিতে পারেনি। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার ফলেই ঘটেছে বলে মনে করছেন নোবিপ্রবির সাবেক এই ইঞ্জিনিয়ারিং গ্র্যাজুয়েট।

এদিকে এক্রিডিটেশন না থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের স্বনামধন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও।

আইইবির সদস্যপদ না থাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির গ্র্যাজুয়েটদের নামের সঙ্গে প্রকৌশলী ব্যবহার করার অনুমতি নেই বলে জানিয়েছেন ইনস্টিটিউট পরিচালক বি এম মাইনুল হোসাইন। তবে এই এক্রিডিটেশনের তেমন কার্যকারিতা নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, যারা এখান থেকে গ্র্যাজুয়েট হচ্ছেন তারা নিজের দক্ষতা দেখিয়েই এই সেক্টরে নিজের ক্যারিয়ার গড়বেন। তাই ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের এই এক্রিডিটেশনেট বিষয়টি প্রয়োজন হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করছি একটি কর্মমুখী বিষয় হিসেবে আমাদের শিক্ষার্থীদের দক্ষতাটাই সবাই দেখবে, এতে অন্য কিছু কেউ দেখতে চাইবে না। 

ফ্রিল্যান্সারদের উদাহরণ স্বরূপ দেখিয়ে তিনি বলেন, দেশে অনেক ফ্রিল্যান্সার আছে, তারা নিজের কাজ দেখিয়ে ভালো আয় করছেন, এক্ষেত্রে তাদের ডিগ্রী বা নামের সঙ্গে কি যুক্ত আছে তা কেউ দেখছে না। বর্তমানে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে নামের আগে পরে কি আছে সেটার চেয়েও কাজের আগে পরে কি আছে সেটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। 

আইইবির সদস্য আছে কি নাই এটি নিয়ে কোন শিক্ষার্থীই ভাবছেনা বলে মন্তব্য করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইআইটির এক শিক্ষক। তিনি বলেন, এই সদস্য পদের কোন কার্যকারিতা নেই প্রকৃতপক্ষে। শিক্ষার্থীরা কর্মজীবনে গিয়ে খুবই ভালো করছে, আইইবির সদস্য পদের জন্য তাদের কোন অসুবিধা হচ্ছে না। তবে যদি বিভাগ সমূহের মান বৃদ্ধির জন্য আইইবির সদস্য পাওয়া জরুরী হয় কিংবা এর ফলে গ্র্যাজুয়েটরা আরও মানসম্মত হয় তাহলে সেটি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভাবতে পারে।

বাংলাদেশ বোর্ড অফ এক্রিডিটেশন ফর ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনিক্যাল এডুকেশনের সদস্য সচিব প্রফেসর ড. কাজী বায়েজিদ কবির বলেন, ডিগ্রি দিতে শুধু ইউজিসির অনুমোদন লাগে, এটি শুধুই তাদের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে। তবে আইনগত কারণে আইইবির সদস্যপদ না থাকা বিভাগসমূহের গ্র্যাজুয়েটরা নামের সঙ্গে প্রকৌশলী যুক্ত করতে পারবে না। আর আইইবির সদস্যপদ পেতে হলে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগটির বাংলাদেশ বোর্ড অফ এক্রিডিটেশন ফর ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনিক্যাল এডুকেশন থেকে এক্রিডিটেশন পেতে হবে। নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করলে এই এক্রিডিটেশন দেয়া হয়৷ 

তিনি আরও বলেন, আইইবির সদস্যপদ থাকার ফলে একটি বিভাগ মানসম্মত কারিক্যুলাম বজায় রেখে গ্র্যাজুয়েট বের করছেন বলে বুঝা যায়। তবে, কোন বিভাগ আইইবির সদস্য না থাকলেও তার গ্র্যাজুয়েটরা আইইবি থেকে ডিগ্রী নিয়ে নামের সঙ্গে প্রকৌশলী যুক্ত করতে পারবেন। দেশের আইন অনুযায়ী তাঁকে একজন প্রকৌশলী হিসেবে গণ্য করা হবে।

শুধুমাত্র মানসম্মত কোয়ালিটি বজায় রেখে পাঠদান করে গ্র্যাজুয়েট বানানো বিভাগসমূহই বিএইটিই এর এক্রিডিটেশন পায় বলে জানিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুস সবুর। এই এক্রিডিটেশন পাওয়া বিভাগসমূহই আইইবির সদস্য হিসেবে গণ্য করা হয় বলেও জানান তিনি।

ইঞ্জিনিয়ার মো. আব্দুস সবুর বলেন, যথাযোগ্য মান বজায় না রেখে কোন বিভাগ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ালে তারা এই ইনস্টিটিউশনের সদস্য হতে পারবে না। 

তিনি বলেন, আমরা ওয়াশিংটনভিত্তিক আন্তর্জাতিক একটি সংস্থার পূর্ণ সদস্য হতে যাচ্ছি। এখন থেকে যারা আন্তর্জাতিক মান ধরে রেখে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে তারাই এক্রিডিটেশন পাবে।


সর্বশেষ সংবাদ