বঙ্গবন্ধু সঙ্গে সাঈদীর জানাজার তুলনা, রুয়েটের সেই কর্মকর্তা বহিষ্কার
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জানাজা সঙ্গে মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত জামায়াত নেতা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর জানাজার উপস্থিতির তুলনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছবি পোস্ট করায় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) এক কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত ওই কর্মকর্তার নাম মিলনুর রশিদ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় যন্ত্রকৌশল বিভাগের সিনিয়র টেকনিক্যাল অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন।
আজ মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
ওই কর্মচারীর উদ্দেশ্যে লিখিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতির পিতাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্পর্শকাতর বিষয় শেয়ার করায় উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে এবং তদন্ত কমিটির তদন্তের স্বার্থপ আপনাকে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরী হতে সাময়িক বরখান্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে আপনি খোরপোষ ভাতাসহ প্রাপ্য ভাতাদি পাবেন। বরখাস্তকালীন সময়ে আপনি বিধি মোতাবেক আপনার বিভাগীয় প্রধানের নিকট রিপোর্ট প্রদান করবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জাতির পিতাকে নিয়ে এভাবে পোস্ট করে ওই কর্মকর্তা অনেক বড় অন্যায় কাজ করেছে। এ নিয়ে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত চলাকালীন সময়ের জন্য তাকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রতিবেদন পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নিবে।
এর আগে, বিষয়টি রুয়েট প্রশাসনের আমলে আসলে তা খতিয়ে দেখতে যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. নীরেন্দ্র নাথ মুস্তফীকে সভাপতি করে তিন সদস্যবিশিষ্ট এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্য দুই সদস্য হচ্ছেন শহীদ শহীদুল ইসলাম হলের প্রভোষ্ট অধ্যাপক ড. মো. আলী হোসেন এবং গবেষণা ও সম্প্রসারণ দপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মুফতি মাহমুদ রনি।
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার (২৮ আগস্ট) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে রুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধীন ফাউন্ড্রিশপ চেম্বার থেকে ওই কর্মকর্তাকে বের করে দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে ছাত্রলীগ।
কর্মচারীদের এমন কর্মকাণ্ডে তৎক্ষনাৎ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, দেশ ও সরকারের পাশাপাশি রুয়েটের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে- এমন বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট ও শেয়ার না করার জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর সর্বোচ্চ সর্তকতা জারি করেছে রুয়েট প্রশাসন।