স্বাধীনতার মূলমন্ত্র ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা: হাবিপ্রবি ভিসি
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামান বলেছেন, আমাদের স্বাধীনতার অন্যতম মূল মন্ত্রই ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা। বঙ্গবন্ধু নানা মত, নানা পথের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। এরপর যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে সোনার দেশে পরিণত করতে নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস-২০২৩ স্মরণে “বঙ্গবন্ধু, ধর্মনিরপেক্ষতা ও বর্তমান প্রাসঙ্গিকতা” শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রবিবার (২৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-২ এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক কামরুজ্জামান বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী একটি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশকে গড়তেও তিনি ধর্মনিরপেক্ষতাকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়, মুসলমান তার ধর্ম পালন করবে, হিন্দু তার ধর্ম পালন করবে, খ্রিষ্টান-বৌদ্ধ যে যার ধর্ম পালন করবে। কেউ কারো ধর্মে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়, মুসলমান তার ধর্ম পালন করবে, হিন্দু তার ধর্ম পালন করবে, খ্রিষ্টান-বৌদ্ধ যে যার ধর্ম পালন করবে। -অধ্যাপক কামরুজ্জামান
আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ, লেখক, গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন, সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামান। আলোচনা সভায় সঞ্চালনা করেন বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোছা. নুর-ই-নাজমুন নাহার।
বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ, লেখক, গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন তার বক্তব্যে বলেন, পৃথিবীতে একমাত্র দেশ বাংলাদেশ, যেখানে স্বাধীনতার পক্ষে ও বিপক্ষে শক্তি আছে। আর কোথাও এটি পাবেন না। স্বাধীনতার এতো বছর পর ৩০ শতাংশ লোক যদি পাকিস্তানের পক্ষে থাকে, তাহলে কী হলো। আমরা কী রাজনীতি করলাম? আমরা পাকিস্তানি ভাবধারা থেকেও মুক্ত হতে পারছি না, ব্রিটিশদের থেকেও মুক্ত হতে পারছি না।