০৮ আগস্ট ২০২৩, ২১:৫২

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা ছিলেন মহীয়সী নারী: রাবিপ্রবি উপাচার্য

বঙ্গমাতার জন্মদিনে তার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পন করছেন রাবিপ্রবি উপাচার্য  © টিডিসি ফটো

রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) উপাচার্য বলেছেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা ছিলেন এক মহীয়সী নারী। তিনি সেসময় বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনে নিজের সংসার ও সন্তানদের মানুষ করার পাশাপাশি সংগঠনের নেতা-কর্মী ও আত্মীয় স্বজনের প্রতি সবসময় মনোযোগ রাখতেন। 

মঙ্গলবার (০৮ আগস্ট) রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবিপ্রবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এঁর ৯৩তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।  

উপাচার্য বলেন, অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা সহ্য করেছেন। শেখ মুজিবের বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠার পেছনেও বঙ্গমাতার অনেক অবদান রয়েছে। স্বামী বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ছায়ার মত অনুসরণ করে বেগম মুজিব জীবনে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করেছেন। এজন্য তাকে অনেক কষ্ট-দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এছাড়া স্বাধীনতা আন্দোলন ও মুক্তিসংগ্রামসহ বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ক্ষেত্রে বঙ্গমাতার অসামান্য অবদান রয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের দীপংকর তালুকদার একাডেমিক ভবনের সভা কক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সভার শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালো রাতে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এবং মুজিব পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে ঘাতকের বুলেটে নির্মমভাবে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইউসুফ, প্রক্টর জুয়েল সিকদার, অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক মো. নূরুজ্জামান এবং রাবিপ্রবি অফিসার্স এসোসিয়েশন এর সভাপতি মাহবুব আরা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাঞ্চন চাকমা।

অনুষ্ঠান শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার উপস্থিত সবাইকে নিয়ে বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গৌরব চাকমা।