বুয়েটে খুনের মামলার আসামি ক্লাসে যাওয়াটা নিন্দনীয়: ইউট্যাব
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ও বুয়েট থেকে আজীবন বহিষ্কৃত আশিকুল ইসলাম বিটু ফের ক্লাসে অংশ নেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান এক বিবৃতিতে বলেন, মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল নেতা বিনা কারণে তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে।
শিক্ষক নেতারা বলেন, সেসময় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে ভোঁতা জিনিসের মাধ্যমে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। বুয়েট প্রশাসন কর্তৃক আজীবন বহিষ্কৃত ছাত্র আশিকুল ইসলাম বিটু সম্প্রতি ফের ক্লাসে অংশগ্রহণ করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা সোমবার বুয়েট শহিদ মিনারের সামনে মানববন্ধন করেছে।
অভিযুক্ত আসামি আশিকুল ইসলাম বিটু, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত হওয়ায় তাকে বুয়েট থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এরআগে ২০২১ সালের ২২ মে বিটু কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের সাথে অনলাইন ক্লাসে অংশ নেন। কিন্তু রোববার তিনি কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের সাথে আরেকটি ক্লাসে যোগ দিলে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবারো এর প্রতিবাদ জানায়।
ইউট্যাবের শীর্ষ দুই নেতা বলেন, অভিযুক্ত ও বহিষ্কৃত ছাত্র বিটুর নিবন্ধন বাতিলের দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী এটা নিশ্চিত যে, বিটু আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ও জড়িত ছিল। তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও বহিষ্কার করা হয়। এবার দ্বিতীয়বারের মতো সে ক্লাসে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আমাদের ভাইয়ের খুনির সাথে ক্লাসে যাওয়াটা আমাদের জন্য লজ্জার।
শিক্ষকেরা বলেন, শিক্ষক সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে আমরাও এ কথা বলতে পারি যে, খুনের সঙ্গে অভিযুক্ত ও একজন বহিষ্কৃত ছাত্র আবারও ক্লাসে যোগ দিলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরুপ মনোভাব তৈরি হবে। শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে। সুতরাং শিক্ষাঙ্গণে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার সার্থে বুয়েট কর্তৃপক্ষের উচিৎ খুনের মামলার আসামি ও বহিষ্কৃত ছাত্র বিটু যেন কোনোমতেই ক্লাসে অংশ নিতে না পারে, সে বিষয়ে কঠোর অবস্থানে যাওয়া।