পবিপ্রবিতে ১৩ দাবি নিয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে শিক্ষার্থীরা
সকল অনুষদের প্রতি সেমিস্টারের পরীক্ষায় জিপিএ-৩ এর কম পেলেও সকল কোর্সের জন্য ইম্প্রুভমেন্ট সিস্টেম চালু করাসহ ১৩ দফা দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী উপাচার্যের কার্যালয়ে অবস্থান করেন।
রোববার (৬ আগস্ট) বিকেল ৫ টা থেকে শিক্ষার্থীফা উপাচার্য কার্যালয়ে জড়ো হতে শুরু করেন। সন্ধ্যার পর বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর সমাগম ঘটে।
পরবর্তীতে সন্ধ্যা ৭টায় উপাচার্য কার্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে উপাচার্য, প্রক্টর, ডিনবৃন্দ, প্রভোস্টবৃন্দ এবং প্রধান ইঞ্জিনিয়ার শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনায় বসেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আলোচনা চলমান রয়েছে।।
উপাচার্যের কাছে জমা দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ডেল্টা প্লান-২১০০ ও চতুর্থ শিল্পবিপ্লব সফল করার লক্ষ্যে দক্ষ, আধুনিক, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা উপযোগী, গবেষণা নির্ভর তারুণ্য গড়ার লক্ষ্যে পবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান।
উত্থাপিত দাবিসমূহ হলো-
১. প্রতি সেমিস্টারে সর্বনিম্ন ৩টি কোর্সে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের পরবর্তী সেমিস্টারে উত্তোলনের ব্যবস্থা করতে হবে।
২. প্রতিটি হলে এবং ক্লাসরুমে সুপেয় পানি পানের ব্যবস্থা করতে ইলেক্ট্রিক ফিল্টারিং সিস্টেম চালু
করতে হবে।
৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অনতিবিলম্বে চালু করতে হবে।
৪. সৃজনী বিদ্যানিকেতন থেকে এম. কেরামত আলী হল পর্যন্ত রাস্তাটি আরসিসি ঢালাই রাস্তায় রূপান্তর
করতে হবে।
৫. একাডেমিক কাউন্সিল ও রিজেন্ট বোর্ডে পাশকৃত সিদ্ধান্ত ৪ মাসে সেমিস্টার" এর সকল অনুষদে পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে।
৬. শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসার জন্য হেলথ কেয়ার সেন্টারকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা ও প্রয়োজনীয় ঔষধ
প্রাপ্তির লক্ষ্যে ফার্মেসী চালু করতে হবে।
৭. ২২ ডিসেম্বর ২০২২ ক্যাম্পাসের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর অতর্কিত হামলায় জড়িত সকলকে বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৮. মূল ক্যাম্পাস থেকে বরিশাল ক্যাম্পাস (বাবুগঞ্জ) এর সাথে নিয়মিত বাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।
৯. বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌন্দর্য অক্ষুণ্ণ রাখতে সকল লেকের চলমান ভড়াট কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে এবং লেকগুলোকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে হবে।
১০. বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান নির্মাণকার্যে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা অচল হয়ে যাওয়ায় মশার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অসংখ্য শিক্ষার্থী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মশক নিধনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং ডেঙ্গু আক্রান্ত সকল শিক্ষার্থীর চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে হবে।
১১. ছাত্রী হলে টিভি রুম, কমন রুম ও লাইব্রেরীর ব্যবস্থা করতে হবে।
১২. ছাত্রী হলে প্রবেশের সময়সীমা বৃদ্ধি করতে হবে।