লেকে ডুবে ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, প্রশাসনিক ভবনে তালা
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) লেকের পানিতে ডুবে দুই ছাত্রীর মৃত্যুর পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নেই দাবি করে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছেন ক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার (১ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে প্রশাসনিক ভবনে তালা দেন তারা। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে কখনোই পর্যাপ্ত চিকিৎসা সুবিধা পাওয়া যায়না। বেশিরভাগ সময় চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকেন।
তালা দেয়ার সময় উপস্থিত এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার শুধু নামেই আছে। আমরা কখনোই মেডিকেল সেন্টার থেকে পর্যাপ্ত সেবা পাইনি। আজ যখন দুজন ছাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয় তখন এম্বুলেন্সে অক্সিজেন পর্যন্ত দেয়া যায়নি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল অফিসার লিখন চন্দ্র বালা বলেন, তাদের অভিযোগ সঠিক নয়। শিক্ষার্থীদের যখন উদ্ধার করা হয় তখন আমি সেখানে ছিলাম। আমি প্রাথমিক চিকিৎসা দেই এবং তাদের পালস চেক করে বুঝতে পারি তারা ক্লিনিকালি ডেথ। কিন্তু ইসিজি ছাড়া মৃত ঘোষণা করা যায় না। একারণে সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এম্বুলেন্সে অক্সিজেন ছিল। কিন্তু যেহেতু তারা ক্লিনিকালি ডেথ ছিল এখানে অক্সিজেন প্রদানের বিষয় ছিল না।
এ বিষয়ে বশেমুরবিপ্রবির প্রক্টর ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ সঠিক নয়। দু’জন ছাত্রী ডুবে যাওয়ার প্রায় ৩০ মিনিট পর উদ্ধার করা হয় এবং তারা তখনই মৃত ছিল। একারণে অক্সিজেনের বিষয়ই ছিল না। এখন আমরা শিক্ষার্থীদের পরিবারের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তরের ব্যবস্থা করছি।
উল্লেখ্য, আজ দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকে ডুবে যান দুজন ছাত্রী। পরে তাদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক ড. কাজী ইসমাইল হোসেন দুই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন।
মারা যাওয়া দুই ছাত্রীর নাম তাসপিয়া জাহান রিতু এবং অনন্যা হিয়া। তারা দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাদের মধ্যে রিতু খুলনার বড়বাড়িয়া এলাকার মনিরুজ্জামানের মেয়ে ও অনন্যা হিয়ার বাড়ি বাগেরহাটের ফকিরহাটে।