বুয়েট শিক্ষার্থীরা রাজনীতিতে জড়ালে ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাসের ভেতরে কিংবা বাহিরে শিক্ষার্থীরা রাজনীতিতে জড়ালে ব্যবস্থা নেবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ বুধবার বুয়েটের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ফোরকান উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, “এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল রাজনৈতিক সংগঠন এবং এর কার্যক্রম ইতিমধ্যে নিষিদ্ধ করা হইয়াছে। সুতরাং কোন শিক্ষার্থী অনুমোদিত ক্লাব/সোসাইটি ব্যতীত কোন রাজনৈতিক দলের বা এর অঙ্গসংগঠনের অথবা অন্য কোন সংগঠনের সদস্য হইতে বা তার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবে না। শিক্ষার্থীগণকে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশে বর্ণিত নিয়মসমূহ যথাযথভাবে পালন করিতে হইবে এবং ইহা অমান্য করিলে অধ্যাদেশে বর্ণিত বিধি মোতাবেক তাহাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।”
“এমতাবস্থায়, বুয়েটের কোন শিক্ষার্থী কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অন্য কোন মাধ্যমে ক্ষেত্রে তাহাদের সাংগঠনিক/রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার না করিবার জন্য কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে এতদ্বারা নির্দেশ প্রদান করা হইলো।”
জানা যায়, সম্প্রতি ঘোষিত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পেয়েছেন বুয়েটের বর্তমান দুই শিক্ষার্থী। তাদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি পুনরায় প্রবেশ করাতে চাচ্ছে ছাত্রলীগ– এমন অভিযোগ তুলেছে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এর মাধ্যমে আবারও বুয়েট ক্যাম্পাসে সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতিও চালু হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা শিক্ষার্থীদের শঙ্কা ও ক্ষোভের মধ্যে আজ এই বিজ্ঞপ্তি দিল বুয়েট প্রশাসন। যদিও প্রশাসন বলছে, ২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর (আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর) একই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছিল তৎকালীন বুয়েট কর্তৃৃপক্ষ।