টানা ক্লাস-পরীক্ষার বাইরে নোবিপ্রবির বিএমএস বিভাগের শিক্ষার্থীরা
ডিগ্রি পরিবর্তনের দাবিতে প্রায় দুই মাস ক্লাস-পরীক্ষার বাইরে রয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ (বিএমএস) বিভাগের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের এই দাবি যৌক্তিক কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখার জন্য একটি টেকনিক্যাল কমিটি করে প্রতিবেদন তৈরির নামে দেড় মাস সময়ক্ষেপন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
দাবির ৪৫ দিন পর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে (ইউজিসি) প্রতিবেদন পাঠানোর কথা বললেও নতুন করে ইউজিসির সমন্বয়ে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করতে কমিশনের নিকট প্রতিনিধি চেয়ে আবেদন পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও পড়ুনঃ অধিকাংশ চাকরিতে আবেদন বঞ্চিত নোবিপ্রবির বিএমএস বিভাগের গ্র্যাজুয়েটরা
গতকাল রোববার (১৬ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বিভাগের নাম অপরিবর্তিত রেখে ডিগ্রি পরিবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন করে টানা ক্লাস-পরীক্ষার বাহিরে থাকা বিএমএস বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে কর্মসূচি পালন করে। দাবি অনাদায়ে আরো কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয় আন্দোলনকার শিক্ষার্থীরা।
এর আগে গত ১০ জুলাই নোবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টেকনিক্যাল কমিটির করা প্রতিবেদন ইউজিসিতে পাঠানো হয়েছে। ইউজিসি সচিব ড. ফেরদাউস জামানের নিকট ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে উপাচার্য নিশ্চিত করেছেন।
পরে ইউজিসি সচিব বলেছেন, আমরা কোন প্রতিবেদনের চিঠি পাইনি। গত ৯ জুলাই রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মুহাম্মদ আলমগীর সরকারের স্বাক্ষরে নোবিপ্রবি থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সমস্যা সমাধানে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনের জন্য একজন প্রতিনিধি প্রেরণের অনুরোধ জানানো হয়েছিল।
ইউজিসি সচিব আরও বলেন, প্রতিনিধি চেয়ে দেয়া চিঠিটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ডিভিশনে পাঠানো হয়েছে। তারা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
রোববার ইউজিসির সদস্য ড. মো: আলমগীর বলেন, শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগ সরকারি চাকরির টার্গেট নিয়ে পড়াশোনা করে। দেশে এ ধরনের বিশেষায়িত সাব্জেক্ট পড়ার উপযুক্ত পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। বিষয়টি নিয়ে ইউজিসিতে চিঠি আসলে কমিশন পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান ড. আলমগীর।
উল্লেখ্য, গত ২১ মে বিভাগ পরিবর্তনের দাবিতে উপাচার্য বরাবর একটি আবেদন জমা দিয়ে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সকল প্রকার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয় এই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সেই থেকে প্রায় দুই মাস বন্ধ রয়েছে বিভাগটির একাডেমিক কার্যক্রম। এরমধ্যে এই দাবির সাথে একমত পোষণ করে একাধিকবার বিভাগীয় চেয়ারম্যান এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে দেখা করেছে বিভাগের সকল ব্যাচের শিক্ষার্থী।