৭ হাজার শিক্ষার্থীর ক্যাম্পাসে ৫৭ জনকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন
এক শতাংশেরও কম শিক্ষার্থী নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি)। শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ কোনও আয়োজন ছাড়াই সাদামাটাভাবে পালন করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করছেন শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১৫ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা, কেক কাটা, জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবদনের মধ্যে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার শাখা সূত্রে জানা যায়, নোবিপ্রবির বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় সাত হাজার। এরমধ্যে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুধুমাত্র ৫৭জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন; যা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর এক শতাংশেরও কম।
আরও পড়ুনঃ ইউজিসির গড়িমসিতে আটকা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি!
সাধারণ শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, প্রশাসন দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়ে বর্ণহীন এবং অনাআড়ম্বরপূর্ণ একটি দিবস পালন করেছে। এছাড়া সঠিক দিবস পালন না করে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে সাজানো বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের মত অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী উপস্থিতি না থাকার পেছনে প্রশাসনের উদাসীনতাই দায়ী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, যথাযথ তারিখে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করা হয় না। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর তারিখ নিয়ে সমস্যা থাকলেও প্রশাসন যদি সঠিক ও সুন্দরভাবে দিনটি আয়োজন করতো তাহলে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ থাকতো। যেখানে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিবসে তারা শিক্ষার্থীদের খাবার এবং টি-শার্ট দিয়ে থাকে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কালচারাল প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে শুধু কেক কাটা হয়। যেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য কোন আয়োজন নেই সেখানে তারা আসবে কেন?
তবে শিক্ষার্থীরা তাদের মনের সুপ্ত ভালোবাসা থেকে নিজ ক্যাম্পাসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে অংশগ্রহণ করবে বলে মনে করেন নোবিপ্রবি উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকী। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস আমাদের চেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বেশি আনন্দের। আমরা চেয়েছি শিক্ষার্থীদের মনের সুপ্ত ভালোবাসা বিকশিত করতে, যাতে করে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে তারা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি ভালোবাসা থেকে অংশগ্রহণ করে।
খাবার দিয়ে প্রলুব্ধ করে ভালোবাসা জাগ্রত করা যায় না উল্লেখ করে উপাচার্য আরও বলেন, আমরা চাই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালোবেসে এর সকল অনুষ্ঠানে নিজ থেকে অংশগ্রহণ করুক। বন্ধের দিন হওয়ায় এবং নানাবিধ প্রতিবন্ধকতার কারণে কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি। তবে আগামী বছর ভালোভাবে দিবস পালনের আশ্বাস দেন উপাচার্য।