স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাজেটে শিক্ষা-গবেষণা-উন্নয়নের সমন্বয় ঘটেছে: বুয়েট ভিসি
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঘোষিত বাজেটে শিক্ষা, গবেষণা ও উন্নয়নের সমন্বয় ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার। আজ শুক্রবার (১৬ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘সমৃদ্ধ ও সুষম বাজেট নির্মাণ : বাজেট ২০২৩-২০২৪’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত গবেষণাভিত্তিক সংগঠন ‘এডুকেশন, রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম বাংলাদেশ (ইআরডিএফবি)’ এই সেমিনারের আয়োজন করে।
উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, বর্তমান বাজেট শিক্ষা, গবেষণা এবং উন্নয়ন এই ৩টি জিনিসের সমন্বয় ঘটিয়ে স্মার্ট, সমৃদ্ধ এবং সুষম বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক হবে। বাজেটে কৃষিখাতে অনেক বেশি জোর দেওয়ার মাধ্যমে প্রমাণ করছে যে এই বাজেট স্মার্ট কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে স্মার্ট এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
তিনি আরও বলেন, যে বাজেট ঘোষণা করলেই হবে না বরং বাজেটের যথাযথ ব্যবহার আমাদের করতে হবে। বাংলাদেশের সকল সেক্টরে প্রযুক্তির ব্যবহারের উপর জোর দিয়ে বর্তমান বাজেট মূলত স্মার্ট, সমৃদ্ধ এবং সুষম বাংলাদেশ বিনির্মাণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি প্রত্যাশা করছেন।
সেমিনারে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেন, বর্তমান বাজেট মূলত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার বাজেট। ২০০৬ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে যেমন, কৃষির আকার বেড়েছে ৪ গুণ, রপ্তানি বেড়েছে ৫ গুণ, রেমিট্যান্স বেড়েছে ৬ গুণ। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের বেশি হয়েছে। কোভিডের মত কঠিন পরিস্থিতিতে ও বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ১৯৭১ এ যা ছিল তা থেকে প্রায় ৩০ গুণ বেড়ে হয়েছে প্রায় ২৮০০ মার্কিন ডলার। বর্তমান সরকারের সফল বাজেটের ফলে দারিদ্র্যতা এবং অতি দারিদ্রতা কমে হয়েছে ১৮.৫ এবং ৫.৬ শতাংশ। সুতরাং এই বাজেট কোনোভাবেই উচ্চাভিলাষী নয় বরং ভবিষ্যৎমুখী। বর্তমান মুল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এই বাজেট অনেক বেশি ভুমিকা রাখবে। সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে এই বাজেট স্মার্ট, সমৃদ্ধ এবং সুষম বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা পালন করবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও ইআরডিএফবি’র অধ্যাপক ড. মোঃ সাজ্জাদ হোসেন প্রধানমন্ত্রী ও তার পুত্র শেখ ওয়াজেদ জয়কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, তাদের জন্যই আজকের স্মার্ট বাংলাদেশ পাচ্ছি আমরা যার স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি বলেন, বর্তমান বাজেটে লাইট ইন্জিনিয়ারিং, এসএমই সহ সকল সেক্টরে গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অনেক গতি আনতে সহায়ক হবে। বর্তমান বাজেটের যে ছোট কিছু জায়গা গুলোতে পরিবর্তন আনলে তা আরো বেশি যুক্তিযুক্ত হবে তাতে সরকারকে পুনর্বিবেচনার জন্য আহবান জানাই। স্মার্ট, সমৃদ্ধ এবং সুষম বাংলাদেশ বিনির্মানে তরুণ সমাজকে কাজে লাগাতে হবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ ও ইআরডিএফবি এর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান।