১৫ জুন ২০২৩, ১৯:৩১

অল্প বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় শাবিপ্রবির বেশিরভাগ এলাকা

শাবিপ্রবির সড়কে জলাবদ্ধতা  © টিডিসি ফটো

গত বছর সিলেটে বন্যার কারণে প্রায় এক সপ্তাহ বন্ধ ছিল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)। তবে এরপরও বিশ্ববিদ্যালয়ে পানি নিষ্কাশনে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এমনকি বর্তমানে সামান্য বৃষ্টিতেই বিভিন্ন সড়কসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু স্থানে নিয়মিত জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার অভাবেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বুধবার সকালের বৃষ্টিতেই শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসের 'এ' বিল্ডিংয়ের সামনের অংশ, 'ডি' বিল্ডিংয়ের সামনে ও রাস্তা, চেতনা-৭১ এলাকা, 'বি' বিল্ডিংয়ের  সামনে এবং পাশের এলাকা বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে।

 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, শাবিপ্রবি সংলগ্ন নয়াবাজার এলাকার পানি শাহপরান হলের সামনে দিয়ে কেন্দ্রীয় মিলনায়তন এবং শহিদ মিনারের টিলার নিচ দিয়ে বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী হলের সামনে দিয়ে ছোট খাল হয়ে নদীতে যায়। কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পানি যাবার পথগুলো সংকীর্ণ হয়ে গেছে। 

নতুন নির্মাণাধীন ছাত্রী হলের কাছাকাছি জায়গায় পানি যাবার পথ সংকীর্ণ হওয়ায় আর আগের মতো পানি প্রবাহিত হয় না। এছাড়াও ক্যাম্পাসের 'ডি' বিল্ডিংয়ের পাশে আগে ফাঁকা জায়গা দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও সেখানে এখন সামাজিক বিজ্ঞান ভবন-২ নির্মাণের ফলে সেখানেও আগের মতো পানি প্রবাহিত হতে পারছে না। এছাড়াও ক্যাম্পাসের অন্য কোনো স্থানেও পানি নিষ্কাশনের বিশেষ কোনো ব্যবস্থা দেখা যায় নি।

আরো পড়ুন: বাকি টাকা ফেরত না পাওয়ায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বেরোবি ক্যাফেটেরিয়া

এ নিয়ে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ফেইসবুক গ্রুপ ‘আমরা সাস্টিয়ান’ এ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। আসিফ বিন আলম নামের এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, একটু ভারী বৃষ্টি হলেই এখন ক্যাম্পাসের এই অবস্থা হয়ে যায়। আবার কিছু হবে কি-না কে জানে!

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুর ও পরিবেশ প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল রহমান বলেন, যে হারে পানি বের হওয়া দরকার তা বের হতে পারছে না। পানি বের হওয়ার পথে কোনো বাঁধা আছে কি-না তা দেখা এবং কাজ করা উচিত। কোথাও যদি সাঁকো কিংবা কালভার্টের প্রয়োজন হয় তার ব্যবস্থা করা দরকার।' 

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আমিনা পারভীনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।