চটলেন মেডিকেল অফিসার, ওষুধ নিতে বললেন ভিসি-ট্রেজারারের কাছ থেকে
অক্সিজেন সাপোর্ট ও ওষুধ চাওয়ায় শিক্ষার্থীদের ওপর চটেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. ইসমাত আরা পারভীন। এসময় তিনি ওষুধ ও অক্সিজেনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও ট্রেজারারের কাছে যেতে বলেন শিক্ষার্থীদের। আজ বুধবার দুুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস বুকের ব্যাথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যান তার সহপাঠী ও জুনিয়ররা। পরে মেডিকেল সেন্টারে তাকে অক্সিজেন দেয়া হয়। এসময় হঠাৎ অক্সিজেন শেষ হয়ে গেলে ওষুধ ও অক্সিজেনের ব্যাপারে মেডিকেল অফিসার ডা. ইসমাত আরা পারভীনকে জানালে তিনি শিক্ষার্থীদের ওপর চটে যান এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন।
সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, অক্সিজেন ও ওষুধ এর ব্যাপারে আমরা মেডিকেল অফিসার ডা. ইসমাত আরা পারভীনকে জানালে তিনি আমাদের ওপর চটে যান। আমাদের সাথে চিল্লাচিল্লি করতে থাকেন। ওষুধ ও অক্সিজেন এর জন্য উপাচার্য ও ট্রেজারার স্যারের কাছে যেতে বলেন। এসময় আস্তে কথা বলার জন্য অনুরোধ করা হলে ডা. ইসমাত বলেন, আমার কথা এরকম ই-সহ্য হলে হবে, না হলে নাই।
এই ফালতু কথাগুলো তোমরা বলতে পারো না। এসব সাংবাদিকদের কাজ না, এসবের জন্য আমাদের স্যাররা আছেন তারা দেখবেন, ক্যাম্পাসে আরও ঘটনা হচ্ছে তোমরা সেগুলো দেখো-ডা. ইসমাত
এছাড়াও ডা. ইসমাতের বিরুদ্ধে নিয়মিত মেডিকেল সেন্টারে না আসাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যপারে মেডিকেল অফিসার ডা. ইসমাত আরা পারভীন বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। এসব কোন ঘটনাই ঘটেনি মেডিকেল সেন্টারে। এসব আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চক্রান্ত।
নিয়মিত মেডিকেল সেন্টারে না আসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ফালতু কথাগুলো তোমরা বলতে পারো না। এসব সাংবাদিকদের কাজ না, এসবের জন্য আমাদের স্যাররা আছেন তারা দেখবেন, ক্যাম্পাসে আরও ঘটনা হচ্ছে তোমরা সেগুলো দেখো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও চিফ মেডিকেল অফিসার (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘন্টাই মেডিকেল সেবা পাবে। ইতোমধ্যে মেডিকেল সেন্টারে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম চলে এসেছে। শিগগির চিকিৎসকদের নিয়ে বসে মেডিকেল সেন্টারের সব সমস্যা সমাধান করা হবে।