মৎস্য ও মৎস্যপণ্য বিধিমালা সংশোধনের দাবিতে যবিপ্রবিতে মানববন্ধন

মানববন্ধনে ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স (এফএমবি) বিভাগের শিক্ষার্থীরা
মানববন্ধনে ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স (এফএমবি) বিভাগের শিক্ষার্থীরা  © টিডিসি ফটো

মৎস্য ও মৎস্যপণ্য বিধিমালা ২০২৩ সংশোধনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স (এফএমবি) বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১২ জুন) দুপুর সাড়ে ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। যবিপ্রবির ফিশারিজ ক্লাবের উদ্যোগে এ মানববন্ধনে বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল।

যবিপ্রবির ফিশারিজ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. মোমিনুল ইসলাম বলেন, সারাদেশে ১৬/১৭ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিশারীজ পড়ানো হয়। যেখানে মাছের রোগ এবং এ সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় সেখানে কি করে ফিশারীজ কর্মকর্তা অগ্রাধিকার না পেয়ে ভেটেরিনারি কর্মকর্তা মাছের রোগ নিরাময়ে ব্যবস্থাপনা ও পরামর্শ প্রদান করার অগ্রাধিকার পায়। এই সিদ্ধান্ত ফিশারিজ সেক্টরের অগ্রযাত্রায় সম্পূর্ণ পরিপন্থী। তাই উক্ত নীতিমালা বাতিল করে ফিশারিজ গ্র্যাজুয়েটদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।

মানববন্ধনে বক্তারা অতিসম্প্রতি মৎস্য ও মৎস্যপণ্য (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা ২০২৩ খসড়া বিধিমালার ষষ্ঠ অধ্যায়ের ২০(১) ও ২০(৪) বিধি সংশোধনের দাবি জানান। এছাড়াও যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে এই নীতিমালায় যেন খুব দ্রুত সময়ের মাঝে পরিবর্তন আনা হয় সেই দাবি জানান তারা।

শিক্ষার্থীরা জানান, এই ভিত্তিহীন বিধিমালা যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে সংশোধন করা না হলে যবিপ্রবিসহ সারা দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিদরা একত্রিত হয়ে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করার হুশিয়ারি দেন।

প্রসঙ্গত, বিতর্কিত বিধিমালার ষষ্ঠ অধ্যায়ের ২০(১) বিধিতে বলা হয়েছে- কেন্দ্রীয় উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ মৎস্য চাষে ব্যবহৃত ক্ষতিকর নহে এইরূপ রাসায়নিক পদার্থের তালিকা এবং রোগাক্রান্ত মৎস্যের চিকিৎসার্থে ব্যবহৃত হইতে পারে পরিচালক, কেন্দ্রীয় পশু হাসপাতালের সহযোগিতায় প্রস্তুতকৃত এইরূপ ঔষধের তালিকা পৃথকভাবে সরকারের অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করিবেন এবং ২০(৪) বিধিতে বলা হয়েছে- বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়াান বা ভেটেরিনারি কর্মকর্তা মৎস্যের রোগ নিরাময়ে যে ঔষধ যে ভাবে ব্যবস্থাপত্রে নির্দেশনা প্রদান করিবেন সেই ভাবে প্রয়োগ করা যাইবে এবং খামার মালিক এইরুপ ব্যবস্থাপত্র মৎস্য আহরণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংরক্ষণ করিবেন।


সর্বশেষ সংবাদ