যবিপ্রবির ট্রেজারার নিয়োগে আলোচনায় তিন অধ্যাপক
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ট্রেজারারের পদ শূন্য রয়েছে দুই মাস ধরে। পদে নিয়োগ পেতে মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছেন অনেকেই।
জানা গেছে, ট্রেজার নিয়োগের তালিকায় আলোচনায় রয়েছে যবিপ্রবির জীববিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবির জাহিদ। তিনি একইসাথে অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও জিনোম সেন্টারের সহকারী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এরপরে আলোচনায় রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (ইএসটি) বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কে এম দেলোয়ার হোসাইন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ এন্ড মেরিন বায়োসায়েন্স (এফএমবি) বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনিসুর রহমান ও আছেন আলোচনায়। তিনি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালন করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ট্রেজাোর হওয়ার দৌড়ে এই তিনজনের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবির জাহিদ। করোনাকালীন সময়ে যবিপ্রবির জিনোম সেন্টারে করোনা শনাক্তের কিট আবিষ্কার, জিনোম সিকোয়েন্সিং, প্রথম ওমিক্রন শনাক্তকরণ, নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তকরণ সহ দীর্ঘদিন ল্যাবে করোনা শনাক্তকরণে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিছুদিন আগে তিনি বাংলাদেশ একাডেমি অফ সায়েন্সের সহযোগী ফেলো নির্বাচিত হন। এছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।
কিন্তু সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগে তার নামে মামলা হলেও এর সত্যতা পায়নি তদন্ত কমিটি। পরবর্তীতে তিনি ঐ প্রকৌশলীর নামে মামলা করেন। সম্প্রতি ড. ইকবালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়ে দুদকে একটি বেনামি পত্র দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ একটি গোষ্ঠী তাঁর নিয়োগ ঠেকাতে এ ধরনের অভিযোগ করেছে বলে জানা গেছে। করোনাকালীন সময়ে তার কাজের মূল্যায়ন হিসেবে তিনি ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগ পেতে পারেন।
এদিকে ট্রেজারার পদের জন্য আলোচনায় রয়েছেন অধ্যাপক কে. এম দেলোয়ার হোসাইন। তিনি বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদ যেমন প্রভোস্ট, প্রক্টর বা রিজেন্ট বোর্ডে কাজের কোনো অভিজ্ঞতা নেই তাঁর। দায়িত্বশীল পদে কাজের অনভিজ্ঞতা থাকলেও অনেকে মনে করছেন, গোপালগঞ্জে বাড়ি হওয়ায় তিনি প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি পেতে পারেন।
ট্রেজারার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে অধ্যাপক ড. মো. আনিসুর রহমানেরও। দীর্ঘদিন তিনি সুনামের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন। বিভিন্ন সময়ে তিনি বিভাগের চেয়ারম্যান, হল প্রভোস্ট ও প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব পালন করেছেন। ক্লিন ইমেজ ও সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে তিনিও ট্রেজারর হিসেবে নিয়োগ পেতে পারেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা চাই এমন একজন ট্রেজারার হিসেবে দায়িত্ব পাক যার অ্যাকাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো, ভালো রিসার্চ রয়েছে এবং প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন। আশা করছি মহামান্য রাষ্ট্রপতি এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে একজনকে নিয়োগ দেবেন।